সংক্ষিপ্ত
গোয়ায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল-কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশেও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করেছিল অখিলেশ যাদবের দলকে। সেখানেও হয়েছে ভরাডুবি
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্জাব বাদে চার রাজ্যে ফের ফুটেছে পদ্ম। গেরুয়া ঝড়ে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেসের মতো বড় বিরোধী দলগুলি। শুধুমাত্র পঞ্জাবে খানিক আশার আলো জ্বেলে রেখেছে আম-আদমি পার্টি(Aam Aadmi Party)। তৈরি হয়েছে নয়া ইতিহাস। এদিকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ত্রিপুরা সহ অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি গোয়াতে বিশেষ মজর দেয় বাংলার শাসক দল তৃণমূল-কংগ্রেস। বারেবারেই সে রাজ্যে ছুটে যান মমতা-অভিষেক(Mamata-Abhishek) সকলেই। কিন্তু গোয়ায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল-কংগ্রেস(Trinamool-Congress)। উত্তরপ্রদেশেও তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করেছিল অখিলেশ যাদবের দলকে। কিন্তু সেখানেও বিজেপি-র বিজয়রথের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছে অখিলেশ শিবির। এমতাবস্থায় এবার প্রশ্ন উঠছে বিজেপির এই ব্যাপক উত্থানের মধ্যে দিয়েই কী চুরমার হতে বসেছে ২০২৪ সালের মমতার দিল্লি জয়ের স্বপ্ন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এবারের ভোটের ফলাফল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে ছিল রীতিমতো প্রত্যাশিত। আর সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশে কোনোরকম প্রার্থীও দেননি তিনি। এমনকী নির্বাচনে লড়ারও কোনও ইঙ্গিত দেননি। তিনি শুধুমাত্র অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোদী ঐক্যের বার্তা দিতে। সহজ কথায়, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাতে এখনও রয়েছে ২ বছরের বেশি সময়। তার আগে গোয়াতে তৃণমূলের পা ফেলার প্রক্রিয়া তা রাজনৈতিক ময়দানে সূদূরপ্রসারি ছাপ রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে পঞ্জাবে শেষ বার লড়াইয়ের ময়দানে ছিল আম-আদমি পার্টি।
সেবারে বিশেষ সুবিধা না করতে পারলেও এবারে একেবারে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। রেকর্ড মাত্রায় জয়ও এসেছে ভগবন্ত মানের হাত ধরে।তবে এই কাজ সহজ ছিল না। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে গত কয়েক বছরে লাগাতার চেষ্টার পরেই অবশেষে এসেছে জয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে গেলে গোয়াতে তৃণমূল যতটুকুই ভোট বাড়াতে পেরেছে মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে তা দলীয় কর্মীদের লড়াইয়ের ময়দানে অনেকটাই অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতির ময়দানে কংগ্রেসের ভূমিকা ঠিক কী হবে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলেই। এদিকে বিরোধী জোটে শুরুতে কংগ্রেসের হাত ছাড়াই চলার ডাক দিয়েছিল অনেক আঞ্চলিক দলই। সেখানে কংগ্রেস হাইকমান্ড বর্তমান রেজাল্ট দেখে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাও দেখার।
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির