সংক্ষিপ্ত
বিজেপির পাখির চোখ ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন আর চলতি বছর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই জন্যই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়া বিজেপি নেতাদের সংগঠনে বড় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে
বিজেপির পাখির চোখ ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন আর চলতি বছর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই জন্যই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে বাদ পড়া বিজেপি নেতাদের সংগঠনে বড় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব এই সব নেতাদের ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে। প্রশাসনিকাজে অভিজ্ঞ নেতাদের সংগঠনের কাজে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি, প্রাক্তন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিল্পব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপ্রকাশ জাবড়েকর, ও মহেশ শর্মাকে রাজ্যের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
বিজয় রুপানি থাকবেন পঞ্জাবের দায়িত্বে, বিপ্লব দেবকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার দায়িত্বে। এই দুই রাজ্যে সংগঠন মজবুত করাই হবে এই দুই নেতার কাজ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভারতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে দেওয়া হয়েছে কেরলের দায়িত্ব। এই রাজ্যে বিজেপির অবস্থা খুবই শোচনীয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আজন দখল করতে পারেনি। বিহারেও ধরাসায়ী বিজেপি। নীতিশ কুমার জোট ত্যাগ করায় বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছে। এই রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ তাওদেকে। ইনি আগে হরিয়ানার দায়িত্বে ছিলেন।
বিজেপির অন্য টার্গেট ছত্তিশগড়। এই রাজ্যের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত দলের প্রবীণ নেতা ওম মাথুরের ওপর। ছত্তিশগড়ে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে। বর্তমানে কংগ্রেসের সরকার চলছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাপটি গত বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ধরাসায়ী হয়েছে বিজেপি। বিরোধী আসনের থাকলেও নির্বাচনের পর থেকে বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। সংগঠন শক্তিশালী হওয়ার পরিবর্তে দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে বলেও মনে করে এই রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডকে। এই রাজ্যে কো- ইনচার্জের দায়িত্ব সামলাবেন অমিত মালব্য ও আশা লাখরা। মঙ্গল পাণ্ডে সুনীল বনসালের সঙ্গে তালমিল রেখে কাজ করবেন। তাদের হাতে থাকছে বাংলা আর তেলাঙ্গনার দায়িত্ব।
এই নেতাদের আগে দলীয় পদ ছিল না। কিন্তু এঁরা সকলেই নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। ভোট করার অভিজ্ঞতা প্রত্যেকেরই রয়েছে। সেই কারণে আসন্ন লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজস্থানের অরুণ সিং ও মধ্য প্রদেশের মুরলিধর রাও ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের দায়িত্ব নেবেন লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, ত্রিপুরার দেখাশোনা করবেন মহেশ শর্মা। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পাচ্ছেন। যুগ্ম সমন্বয়কারী হচ্ছেন ঋতুরাজ সিনহা।