সংক্ষিপ্ত
২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাবাজদের বিজেপি এমন শিক্ষা দিয়েছিল যে পরবর্তীকালে তারা আর কেউ কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। বিজেপিই ভারতবর্ষে 'স্থায়ী শান্তি ' ফিরিয়ে এনেছে গুজরাটের প্রচারে নেমে এমন কথাই বললেন অমিত শাহ
'হিন্দুত্ববাদ' বরাবরই ছিল বিজেপির রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা। তাই প্রকাশ্য ভাষণে যতই 'সেকুলার' শব্দটি ব্যবহার করুক না কেন, প্রছন্ন হিন্দুত্ববাদী ভাবধারা যে বিজেপির মজ্জাগত তা অঘোষিত হলেও সকলেরই জানা । আর সেটাই বার বার প্রমাণিত হয় বিজেপির একাধিক নেতার বক্তব্যে। আসন্ন গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির হয়ে গুজরাটে জোরকদমে প্রচার সারছেন মোদী। সেই প্রচারাভিযানে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন অমিত শাহও। সম্প্রতি এক প্রচারসভা থেকে অমিত শাহ বলেন যে ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাবাজদের বিজেপি এমন শিক্ষা দিয়েছিল যে পরবর্তীকালে তারা আর কেউ কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। বিজেপিই ভারতবর্ষে 'স্থায়ী শান্তি ' ফিরিয়ে এনেছে।
২০০২ সালের ফেবুয়ারিতে এক ভয়ঙ্কর হিংসাত্বক আন্দোলনের সাক্ষী হয়েছিল ভারত। গোধরা রেলস্টেশনে করসেবক ভর্তি একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থীরা। তার প্রতিশোধ নিতে হিন্দুরাও মুসলিমদের এক বিরাট বস্তি জ্বালিয়ে দেয় রাতারাতি।এর ফলে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ায় গুজরাটে। যার জের ছড়িয়ে পরে অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও।
এপ্রসঙ্গে টেনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন ,'গুজরাটে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল তখন থেকেই ব্যাপকহারে দাঙ্গা ছড়িয়েছিলো গুজরাটে। কিন্তু মোদী ক্ষমতায় আসার পর তিনি দাঙ্গাকারীদের এমন শিক্ষা দিয়েছিলেন যে তারা আর মাথা তুলে দাঁড়ানর সাহস পায়নি এখনও । এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ গুজরাট ছেড়ে পালিয়ে যেতেও বাধ্য হয়েছিল। বিজেপি গুজরাটে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০২ তে কংগ্রেস এই দাঙ্গাকে আরও উস্কে দিয়েছিলো কিন্তু বিজেপিই দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নিয়ে গুজরাট রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। '
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র শীঘ্রই টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলেন '২০০২ সালের সেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার নজির এমনই যে আরবের সুগন্ধি এনে হাতে মাখলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হাত থেকে সুন্দর গন্ধ ছাড়বে না।