সংক্ষিপ্ত
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বিজেপির নেতা বিল্পব দেবকে নিশানা করেছেন। বলেছেন এরা এতটাই নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে যে এদের কাছে এখন সুপ্রিম কোর্টের আদেশও বিরক্তিকর বলে মনে হচ্ছে।
ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে ত্রিপুরার রাজনীতি (Tripura Politice)। সবথেকে বেশি আঁচ পড়েছে আগরতলা (Agartala)। তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপি- ত্রিপুরার রাজধানীর নিত্যদিনের ঘটনা হয়েই দাঁড়াচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অভিযোগ, রবিবার আগরতলার একটি থানার বিজেপি কর্মীরা তাদের নেতা কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। তাদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)সরাসরি আক্রমণ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে (Biplab Dev)।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বিজেপির নেতা বিল্পব দেবকে নিশানা করেছেন। বলেছেন এরা এতটাই নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে যে এদের কাছে এখন সুপ্রিম কোর্টের আদেশও বিরক্তিকর বলে মনে হচ্ছে। অভিষেক অভিযোগ করে আরও বলেছেন, বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক এমনকি মহিলা প্রার্থীদের আক্রামণ করার জন্য গুন্ডা পাঠান হচ্ছে। অথচ তাঁদের যে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী কর্মীদের তা দেওয়া হচ্ছে না। এটিকে গণতন্ত্রের উপহাস বলেও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক।
তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে ত্রিপুরা সরকারের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি এটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। এক দল পুলিশকর্মীকে এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এই ভিডিও শেয়ার করে অভিষেক লিখেছেন বিপ্লব দেশের সরকার নির্লজ্জ।
Viral Post: পোষাকের কারণ দেখিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কে ঢুকতে বাধা গ্রাহককে, ভাইরাল পোস্টের জবাব দিল ব্যাঙ্ক
Farm Law Repealed: কৃষক আন্দোলন চলবে, এবার কৃষকদের খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
Farm law Repeal: আচমকা কৃষি আইন প্রত্যাহারে ক্ষোভ, বিজেপি ছাড়ার হিড়িক এই জেলায়
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ত্রিপুরায় ভোট প্রচারের রয়েছে দলের নেত্রী সায়নী ঘোষ। যে হোটেলে তিনি রয়েছেন সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় পুলিশ স্টেশনেও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা জানান হয়নি পুলিশের তরফ থেকে। পুলিশেরই নির্দেশ মত সায়নী ঘোষ, কুণাল ঘোষসহ বেশ কয়েক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আগরতলা পূর্ব থানায় পৌঁছেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষ চলে গেলে সেখানে চড়াও হয় প্রায় ২৫ জন। তারা প্রত্যেকেই হেলমেট পরে ছিল। প্রত্যেকের হাতেই ছিল লাঠি। সেই দুষ্কৃতীরা থানার মধ্যেই তৃণমূল কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবি ঘাসফুল শিবিরের।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকারকে সমালোচনায় সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখুপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজের রাজত্ব চলছে। অন্যদিকে বিজেপির ত্রিপুরার মুখপাত্র নরেন্দ্র ভট্টাচার্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি ত্রিপুরার সাধারণ নাগরিকরা তৃণমূল নেতাদের উপর ক্ষুব্ধ।