সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে আশিস জানিয়েছেন তিনি শর্টস পরে ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁকে ব্যাঙ্ককে ঢুকতে দেননি। তাঁকে ফিরে যেতে অনুরোধ করে।

পোষাকের কারণ দেখিয়ে তাঁকে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া(State Bank Of India)-র একটি শাখায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)বার্তা দিয়ে তেমনই অভিযোগ জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। সংশ্লিসষ্ট ব্যক্তি নিজেকে কলকাতার (Kolkata) বাসিন্দা বলেও দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী আশিস নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই পোস্টটি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অভিযোগ জানানোর পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। 

আশিসের অভিযোগঃ
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে আশিস জানিয়েছেন তিনি শর্টস পরে ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁকে ব্যাঙ্ককে ঢুকতে দেননি। তাঁকে ফিরে যেতে অনুরোধ করে। ব্যাঙ্কের কর্মীরা তাঁকে পুরো প্যান্ট পরে আসতেও বলেছিল, বলে জানিছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন ব্যাঙ্কের কর্মীরা একটি নির্দিষ্ট স্তরের শালীনতা আশা করেছিল। সরাসরি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে ট্যাগ করে টুইট করে আশিস জানতে চেয়েছেন, একজন গ্রাহক কী করে ব্যাঙ্কে যাবেন বা কী বলে ব্যাঙ্কে যাবেন না - সেই সম্পর্কে কোনও অফিসিয়াল নীতি রয়েছে কিনা। 

Farm Law Repealed: কৃষক আন্দোলন চলবে, এবার কৃষকদের খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে

Babul Supriyo: 'এই তৃণমূল আর নয়', নিজের গাওয়া গান অস্বস্তি বাড়ল বাবুল সুপ্রিয়র

Tathagata Roy: 'আপাতত বিদায়', আবার বিতর্কিত টুইট তথাগত রায়ের, পাল্টা কটাক্ষ কুণালের

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের আশিসের বক্তব্যঃ
হাই, দ্যা অফিশিয়াল এসবিআই, আজ আপনার একটি শাখায় শর্টস পরে গিয়েছিলাম, আমাকে বলা হয়েছিল পুরো প্যান্ট পরে ফিরে আসতে, কারণে শাখাটি গ্রাহকদের কাছ থেকে শালীনতা বাজায় রাখার আশা করে। আশিস আরও জানিয়েছেন ২০১৭ সালে এই একই ঘটনা ঘটেছিল পুনের একটি ব্যাঙ্কে। সেখান এক ব্যক্তি বারমুডা শর্টস পরে ছিল বলে তাঁকে ব্যাঙ্কে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। 

Scroll to load tweet…

স্টেট ব্যাঙ্কের বক্তব্যঃ
তবে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াও আশিসের টুইটের উত্তর দিয়েছে। জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের জন্য কোনও নির্ধারিত পোষাক বা ড্রেস কোড নেই। পাশাপাশি জানান হয়েছে, গ্রাহক তাই ইচ্ছে মত পোষাক পরে ব্যাঙ্কে যেতে পারেন। নিয়ম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিবেচনা করেই গ্রাহক পোষাক পরবেন-- এটাই ব্যাঙ্ক আশা করে। পাশাপাশি এসবিআই-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে শাকায় এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন আশিস সেই শাখা কোড বা নাম জানালে পুরো বিষয়টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবে।

Scroll to load tweet…

ভাইরাল পোস্টঃ
গত ১৬ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়া এই ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন আশিস। তারপর থেকেই পোস্টটি ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ইতিমধ্যেই ২.৭০০ লাইক পেয়েছে পোস্টটি। তবে পোস্টটি ঘিরে নেটিজেনরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেনয়। অনেকে আশিসকে সমর্থন করেছেন। অনেকে আবার ড্রেসকোড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

এক নেটিজেন যেমন আশিসকে সমর্থন করে এসবিআই ছাড়তে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে অন্য একটি ব্যাঙ্ক খুঁজুন। অন্যজন তেমনই বলেছেন এটা ঠিকই একজন মানুষের এটা বোঝা উচিৎ যে কোনও অনুষ্ঠানে বা কোথায় কী পোষাক পরে যেতে হয়। এক ড্রেস পরে ব্যাঙ্কে যাওয়া উচিৎ নয় যা বাকি গ্রাহকদের অস্বস্তিতে ফেলবে। 

YouTube video player