সংক্ষিপ্ত
কুণাল জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার সে ব্যারিকেডের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে পেয়ে নিজের উচ্ছ্বাস আর চেপে রাখতে পারেনি। আর সেই কারণে মালা হাতে তা দেওয়ার জন্য ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার কর্নাটকের হুবলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কড়া নিরাপত্তা কর্ডন ভেঙে একটি মালা হাতে এগিয়ে গিয়েছিল সে। যা নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। সেই কিশোরের নাম কুণাল ধোঙ্গাদি। ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র কুণাল। শুক্রবার সেই কুণাল জানিয়েছে সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক জন ভক্ত। আর তার কাছে নরেন্দ্র মোদী বল 'ভগবানের মত'।
কুণাল জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার সে ব্যারিকেডের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখতে পেয়ে নিজের উচ্ছ্বাস আর চেপে রাখতে পারেনি। আর সেই কারণে মালা হাতে তা দেওয়ার জন্য ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছিল। সে আরও জানিয়েছে, ব্যারিকেডের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় সে বুঝতে পেরেছিলেন মোদীর গাড়ি সেখান দিয়ে দ্রুত চলে যাবে। তাই সেই কারণেই সে ঠিক ওই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছিল। কুণাল জানিয়েছে, 'আমি মোদীকে মালা দিয়ে গিয়েছিলাম। খুবরে শুনেছিলাম মোদীজি আসবেন তাই আমি বাড়িতে থাকতে চাইনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলাম। মোদীজি তাঁর নিজের গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আমিও সেখানে ছিলাম, সঙ্গে ছিল আমার খুড়তুতো ভাই। আমরা দুজনেই আরএসএস-এর ইউনিফর্ম পরেছিলাম মোদীজি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। কিন্তু তিনি আমাদের দিকে তাকালেন না। তাই গাড়িটি চলে যাবে ভেবে একবার তার কাছে যাওয়ার জন্যই আমি ব্যারিকেড ভেঙে চলে গিয়েছিলাম।'
কুণাল আরও জানিয়েছে, রাস্তার ধারে তার মত আরও যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের সকলেই পরীক্ষা করা হয়েছিল। যারা মালা নিয়ে এসেছিল তাদেরও পরীক্ষা করা হয়েছিল। কুণাল আরও জানিয়েছে, 'আমি মোদীজির একজন বড় ভক্ত। তিনি একজন ভাল মানুষ। একজন ভগবানের মত। আমি খুশি যে আমি তাঁর কাছে মালা নিয়ে যেতে পেরেছি... তাঁকে কাছ খুব থেকে দেখতে পেয়েছি। '
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিশোর হাত থেকে মালা নেওয়ার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতায় তা নিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। পরে এসপিজি মালাটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির ভিতর রেখে দেয়। প্রধানমন্ত্রী এখানে ২৬তম জাতীয় যুব উৎসবের উদ্বোধনের জন্য অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর সময় একটি রোড শো চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তার চলন্ত গাড়ির 'রানিং বোর্ডে' দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং একটি উত্সাহী ভিড়ের দিকে হাত নেড়েছিলেন যেটি বিমানবন্দর থেকে রেলওয়ে স্পোর্টস গ্রাউন্ডের দিকে যাওয়ার সময় বিপুল সংখ্যক রুটে সারিবদ্ধ ছিল, যখন ঘটনাটি ঘটেছিল। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা পিটিআইকে বলেছেন যে ঘটনাস্থল থেকে যে ছেলেটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কুণালের দাদু এদিন জানিয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর কুণালকে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু এখনও পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। কুণালের দাদা আরও জানিয়েছে, পুলিশ বুঝতে পেরেছে একটি একটি আবেগপ্রবণ ছোট্ট ছেলের কাণ্ড। আর সেই কারণে কড়া ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত নেয়নি। কুণালের পরিবারও বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। আর সেই কারণে তারা পুরোপুরি সহযোগিতা করছে পুলিশের তদন্তে। পুলিশও তাদের আশ্বস্ত করেছে কিছু হবে না বলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর মন প্রবীণ বিজেপি নেতারা তাদের সঙ্গে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুণালের দাদু।