গুজরাটের ভুজের হারামি নালার ক্রিক এলাকা থেকে অন্তত ১১টি পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা আটক করেছে। বিএসএফের এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি হারামি নালার সাধারণ এলাকায়, পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের অনুপ্রবেশ চোখে পড়ে।

বিএসএফের (BSF) খপ্পরে এবার হাতে নাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী (Pakistani Fishing Boats) মাছুরে দল। বুধবার দুপুরে ১১টি পাকিস্তানি মাছ ধরার ছোট নৌকাকে আটক করে বিএসএফ (BSF)। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর তরফ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, যে তাঁরা গুজরাটের ভুজের হারামি নালার ক্রিক এলাকা (Harami Nalla in Gujarat`s Bhuj) থেকে অন্তত ১১টি পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা আটক করেছে। বিএসএফের এই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি হারামি নালার সাধারণ এলাকায়, পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের অনুপ্রবেশ চোখে পড়ে। বিএসএফ-এর কথায়, "রাতের তল্লাশি অভিযানের সময়, ১১টি পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়েছে।" বিএসএফ-এর (Border Security Force ) ড্রোনের দ্বারা নজরদারির সময় পাকিস্তানি বোটগুলিকে দেখতে পাওয়া যায়।

Scroll to load tweet…

৬ পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী আটক

১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২-এ, হারামি নালায় পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা এবং জেলেদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালিয়ে এবার আটক ৬। বিএসএফ ক্রিক ক্রোকোডাইল কমান্ডো দল মোট ৬ জন পাকিস্তানি জেলেকে আটক করেছে টানা দুদিনের এই অভিযানে। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর হারামি নালা এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে গত কয়েকদিন ধরেই এবং এর জেরে একটি বিশেষ টিম 'ক্রিক ক্রোকোডাইল কমান্ডোস' মোতায়ন করা হয়েছে। গুজরাটের ভুজের হারামি নালা এলাকায় বুধবার বিকেলে শুরু হওয়া এই অনুসন্ধানে পর পর যেখানে আটটি পাকিস্তানি নৌকা আটক করা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার আরও তিনটি নৌকা সেখান থেকেই আটক করা হয়েছে।

Scroll to load tweet…

"পাকিস্তানিরা যেখানে যেখানে লুকিয়ে আছে, বর্তমানে সেই জায়গা কমান্ডোরা বন্ধ করছে," বলেও এদিন জানানো হয়। আরও তথ্য এদিন সামনে আসে, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে যে জলাভূমি এলাকা, ম্যানগ্রোভ এবং জোয়ারের জল সৈন্যদের কাজকে বেশ কঠিন করে তুলেছে এই সকল এলাকাতে। এই মুহূর্তে ব্যাপক তল্লাশির কাজ চলছে। একজন সিনিয়র বিএসএফ-এর তরফ থেকে জানান, যে ৩০ ঘন্টার সময় বেশি হয়ে গেছে এবং অভিযান এখনও চলছে। "পাকিস্তানি জেলেদের এলাকা থেকে পালানোর কোন সম্ভাবনা নেই,"- বলেও জানানো হয়। 

আরও পড়ুন- ‘ইউনিফর্ম শুধু স্কুলে ব্যবহার হত, কলেজে নয়’, হিজাব মামলায় সওয়াল আইনজীবীর

আরও পড়ুন- মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের তারিখে পরিবর্তন, নয়া ঘোষণা কমিশনের

আরও পড়ুন- কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে আপ-বিজেপির, কেমন ছিল ২০১৭ সালের পঞ্জাব বিধানসভার ফল

"ভুজের ক্রিক এলাকায় লুকিয়ে থাকা জেলেদের সন্ধানের জন্য আমরা ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে আমাদের 'ক্রিক ক্রোকোডাইল কমান্ডো' মোতায়েন করেছি। এলাকায় টহল ও অপারেশনাল দায়িত্বের জন্য বিএসএফের একটি বিশেষ ইউনিটও কাজ করছে এই কচ্ছের এলাকায়,” বলেও অফিসার জানান। জিএস মালিক, আইপিএস, আইজি বিএসএফ গুজরাট ফ্রন্টিয়ার, যিনি গান্ধীনগর থেকে খুব ভোরে খবর পাওয়া মাত্রই কচ্ছ পৌঁছেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে এই তল্লাশি অভিযানে নজর রেখেছেন।