সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি পূর্ণ-বছরের বাজেট পেশ করবেন। অধিবেশনের প্রথম অংশ ১১ই ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলে প্রতিটি অর্থবর্ষ। ২০২২ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget on February 1) ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। চলতি বছরে ৩১ জানুয়ারী থেকে ৮ই এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এবারের বাজেট অধিবেশন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের (Financial Year 2022) জন্য সংসদের (Parliament) বাজেট অধিবেশন (Budget session) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সংসদের অধিবেশন ৩১শে জানুয়ারি উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে। 

এদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চলতি বছরের ১লা ফেব্রুয়ারি পূর্ণ-বছরের বাজেট পেশ করবেন। অধিবেশনের প্রথম অংশ ১১ই ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এরপর একমাসের বিরতির পর অধিবেশনের দ্বিতীয় অংশটি ১৪ই মার্চ থেকে শুরু হবে এবং ৮ই এপ্রিল শেষ হবে। উল্লেখ্য যে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ২৯শে নভেম্বর শুরু হয়েছিল। ২৩শে ডিসেম্বর তার নির্ধারিত শেষের একদিন আগে, ২২শে ডিসেম্বর বুধবার শেষ হয়েছিল।

এরআগে, গত ১৭ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে দুটি অধিবেশনে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার গ্রুপের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রাক-বাজেট পরামর্শ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত সপ্তাহে, ভারতকে আরও আকর্ষণীয় বিনিয়োগস্থলে পরিণত করার বিষয়ে পরামর্শ চাইতে শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ইকুইটি বা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্লেয়ারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উপরন্তু, গত বছর তিনি অন্তত ২০ টি বড় মাপের বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যাদের হাতে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ পরিচালিত হয়। 

২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বিজেপি সরকার একের পর এক আর্থিক সংস্কার করে চলেছে। যার প্রভাবে ভারত বৈশ্বিক 'ইজ অব ডুইং বিজনেস' র‌্যাঙ্কিংয়ে সহজেই অনেকটা উপরে উঠে এসেছে। মোদী সরকার এখন ভারতকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব অর্থাৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসাবে গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছে। অটোমোবাইল থেকে সেমিকন্ডাক্টর বা সৌরশক্তি সেক্টরের জন্য উৎপাদন-মুখী প্রণোদনা প্রকল্প ঘোষণা করেছে। আশা করা হচ্ছে এই সকল প্রণোদনা, বৈশ্বিক উৎপাদন শিল্প সংস্থাগুলিকে আকৃষ্ট করবে।

আসন্ন বাজেটে কোভিড-১৯ মহামারি প্রভাব কাটিয়ে আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে সরকার। এই কারণেই সরকারি বেসরকারি সর্বস্তরের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি শিল্পক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইওদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরমধ্যে ছিল ব্যাঙ্কিং, পরিকাঠামো, অটোমোবাইল, টেলিকম, ভোগ্যপণ্য, টেক্সটাইল, পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি, আতিথেয়তা, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, মহাকাশ, ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্রের শিল্প-নেতারা।