সংক্ষিপ্ত
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাউরি জেলার ধুমাকোট থানা এলাকার সিমদি গ্রামের কাছে খাদে পড়ে যায়। এটি হরিদ্বার জেলার লালধাং থেকে পাউরি জেলার বীরখাল ব্লকে যাচ্ছিল। বাসটিতে একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফেরা যাত্রীরা ছিলেন।
উত্তরাখন্ডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের কোটদ্বার জেলায় প্রায় ৫৫ জনকে বহনকারী একটি যাত্রীবাহী বাস ৫০০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩২ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে আহচ হয়েছে আরও ২০ জন। এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফের দলগুলি উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে এবং আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাউরি জেলার ধুমাকোট থানা এলাকার সিমদি গ্রামের কাছে খাদে পড়ে যায়। এটি হরিদ্বার জেলার লালধাং থেকে পাউরি জেলার বীরখাল ব্লকে যাচ্ছিল। বাসটিতে একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফেরা যাত্রীরা ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ধুমকোট থানার আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্রে পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা পিএমও টুইটারে এই বিষয়ে শোকপ্রকাশ করেছে। পিএমও জানিয়েছে "উত্তরাখণ্ডের পাউরিতে বাস দুর্ঘটনা হৃদয় বিদারক। এই দুঃখজনক সময়ে কেন্দ্র শোকাহত পরিবারের সাথে রয়েছে। কেন্দ্র আশা করে যারা আহত হয়েছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। উদ্ধার অভিযান চলছে। চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী মোদী।"
দুর্ঘটনার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইটারে গিয়ে লিখেছেন, "উত্তরাখণ্ডের পাউরি জেলায় বাস দুর্ঘটনাটি হৃদয় বিদারক। যারা এই ঘটনায় তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, আমি তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ঈশ্বর তাদের এই বিরাট ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন। যারা এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন, আশা করি তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
হরিদ্বারের এসপি সিটি স্বাধীন কুমার সিং বুধবার জানান "এখান থেকে একটি বাসে করে বিয়েবাড়ির শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। লালধাংয়ের দিক থেকে আসা এই বাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। বাসে মহিলা ও শিশু সহ প্রায় ৪০-৪২ জন লোক ছিল। আমরা পৌরীর সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি। পুলিশ এবং গ্রামবাসীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন।"
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। দুর্ঘটনাস্থলে আলোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রামবাসীরা মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের সাহায্যে বাসের ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। পরে দিনের আলো ফুটতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
আরও পড়ুন-
পদার্থবিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য, নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত ৩ বিজ্ঞানী
‘কলঙ্কিত নায়ক’ নাকি ‘গণতন্ত্রের পূজারী’, কে এই মিখাইল গর্বাচেভ?
নোবেল পুরষ্কার পেলেন সোভেন্তে পাবো, জিন নিয়ে অসামান্য আবিষ্কারের জন্য