সংক্ষিপ্ত

  • সিএএ ভারতের আভ্যন্তরীণ বিযয়
  • বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই
  • রাষ্ট্র সংঘকে কড়া বার্তা ভারতের
  • সিএএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলা মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে আর্জি রাষ্ট্র সংঘের

রাষ্ট্র সংঘকে কড়া বার্তা ভারতের। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বৈধতা নিয়ে একাধিক মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই সমস্ত মামলায় তৃতীয় পক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে চেয়ে কিছুটা অযাচিত ভাবেই আবেদন করেছিল রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার পরিষদ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দিল ভারতের ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষেয়। ভারতের সার্বভোমিকতার সঙ্গে জড়িত এমন কোনও বিষয়ে বিদেশী পক্ষের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। 

আরও পড়ুনঃ কলকাতায় একাধিক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, থমকাল ইন্টারনেট পরিষেবা

সিএএ নিয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রধান।  তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমারের কথায় সোমবার রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট আবেদনের বিষয় ভারতকে জানিয়েছিল। তারপরই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত।  বলা হয়েছে, ভারতের সার্বভৌমত্বের বিষয় নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তির আদালতে যাওয়ার কোনও অধিকার নেই। তিনি আরও বলেন,সরকার স্পষ্ট করে দিতে চাইছে সিএএ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বৈধ।দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি  পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

আরও পড়ুনঃ ঘুমোচ্ছেন উবার চালক, নিজেই গাড়ি চালিয়ে মুম্বই থেকে পুনায় গেলেন তরুণী, ভাইরাল হল ভিডিও

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ও বিরোধিতা করে ১৪৩ টি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। জানুয়ারি মাসে হওয়া শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে সংসদে পেশ করা হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। বলা হয়েছিল ধর্মেভিত্তিতে প্রতিবেশী পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশেরের সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়কে নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। উভয় কক্ষে বিল পাশ হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিলে সই করলে তা আইনে পরিণত হয়। 

আরও পড়ুনঃ দিল্লির বন্দুকবাজ শাহরুখ পুলিশের জালে,জাফরাবাদে বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়া যুবক গ্রেফতার বরেলি থেকে

কিন্তু তারপর থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হন বহু মানুষ। একাধিক জায়গায় শুরু হয়ে যায় অবস্থান বিক্ষোভ। শাহিনবাগ, জামিয়া, ইন্ডিয়া গেট সহ একাধিক জায়গার বিক্ষোভ রীতিমত ঝড় তুলেছিল। কিছুটা হলেও চাপে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই চাপ আরও বাড়িয়েছিল দিল্লির হিংসা। যারসূত্রপাত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন থেকেই। কারণ দিল্লিতে সংঘর্ষ  শুরু হয়েছিল নাগরিত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদী ও সমর্থকরা।