সংক্ষিপ্ত

  • আগেই বাতিল হয়েছে সিবিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা
  • পড়ুয়াদের মূল্যায়নের জন্য বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে
  • প্রাপ্ত নম্বরে খুশি না হলে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসতে পারবে
  • ১৫ অগাস্ট-১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিবিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আগেই বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় মূল্যায়নের জন্য বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। তবে সেই মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরে যদি কোনও পড়ুয়া খুশি না হয় তাহলে সে পরীক্ষায় বসতে পারবে। ১৫ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির ঐচ্ছিক পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন অর্থাৎ সিবিএসইর তরফে আজ সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ রাজ্যে, বড় ঘোষণা মমতার

১ জুন করোনা আবহে দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিল করার ঘোষণা করে সিবিএসই। আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল চলতি বছরের সিবিএসই দশমের পরীক্ষা। এই দুই পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পরই প্রশ্ন ওঠে তবে কী করে হবে মূল্যায়ন? সেই বিষয়ে জানাতে সিবিএসইকে ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই, পদ্ধতি ঠিক করতে ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করে সিবিএসই। 

গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে মূল্যায়নের ফর্মুলা শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিল সিবিএসই। সেখানে বলা হয়, পড়ুয়াদের ফলপ্রকাশের জন্য দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে তিনটি সর্বাধিক নম্বর পাওয়া বিষয় বেছে নেওয়া হবে। এরপর তিনটি বিষয়ের মোট নম্বরের ৩০ শতাংশ মূল রেজাল্টে যুক্ত হবে। সেই নম্বর সব বিষয়ের সঙ্গেই যুক্ত করা হবে। এছাড়া একাদশের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরের ৩০ শতাংশ যুক্ত করা হবে মূল রেজাল্টে। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ৮০ নম্বরে থিয়োরি পরীক্ষা হয়, বাকি ২০ নম্বর প্র্যাকটিক্যালের। আবার অনেক বিষয়ে ৭০ নম্বরের থিয়োরি হয়, ৩০ নম্বর প্র্যাকটিক্যালের। তাই ৮০ বা ৭০ নম্বরের ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ বা ৪০ শতাংশের হিসেব হবে। আর দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে ইন্টারনাল পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ৪০ শতাংশ যুক্ত করা হবে মূল রেজাল্টে। প্রায় সব স্কুলে প্র্যাকটিক্যাল ও ইন্টারনাল পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই নম্বর ভাগে কোনও অসুবিধা নেই। আর যে সব স্কুলে পরীক্ষা বাকি আছে, সেখানে অনলাইনে পরীক্ষাগুলি নিয়ে নিতে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- লকডাউনে কমেছে পরিবেশ দূষণ, হাজার মাইল দূর থেকে রাজ্যে ভিড় জমাচ্ছে বিশেষ অতিথিরা

এর মধ্যে কয়েকটি নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেইসঙ্গে ফলাফল প্রকাশ এবং ঐচ্ছিক পরীক্ষার সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো আজ শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজাল্টের ক্ষেত্রে যে সমস্যা থাকবে, তা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হবে। সেই কমিটি সিবিএসই গঠন করে দেবে। আর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণির ফলপ্রকাশ করা হবে বলে আজ শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে বোর্ড।

তবে বিকল্প পদ্ধতিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে যদি কোনও পড়ুয়া নিজের প্রাপ্ত নম্বরে খুশি না হয় তাহলে সে চাইলে সশরীরে পরীক্ষায় বসতে পারবে। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সিবিএসই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। cbse.nic.in ওয়েবসাইটে গেলেই মিলবে রেজিস্ট্রেশনের অপশন। ১৫ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঐচ্ছিক পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।