সংক্ষিপ্ত
রাজেশ ভূষণের পাশাপাশি আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বুথ স্থাপন করতে বলেছেন। উপসর্গযুক্ত ব্য়ক্তিদের হোমটেস্ট কিট ব্যবহার করার বিষয়ে উৎসহ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
নতুন করে দেশে বাড়ছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) চিঠি লিখে এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের লেখা চিঠিতে বলেছেন অবিলম্বে যাতে প্রত্যেকটি রাজ্যে ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার বিশ্লেষণ করতেও পরামর্শ দিয়েছে। একটি কন্ট্রোলরুম নির্মাণেরও পরামর্শ দিয়েছেন চিঠিতে। তিনি রাজ্যগুলিকে জেলাস্তরেও অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি ও কন্ট্রোলরুম খোলার পরামর্শ দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যাতে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তৈরি করা হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। হাসপাতালগুলি মেকশিফ্ট করা জরুরি। জেলা স্তরের নজরদারি সক্রিয় করা উচিৎ। গত ৭০ দিনের মধ্যে ৩১ ডিসেম্বর দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি হয়েছে। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৬৪।
রাজেশ ভূষণের পাশাপাশি আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বুথ স্থাপন করতে বলেছেন। উপসর্গযুক্ত ব্য়ক্তিদের হোমটেস্ট কিট ব্যবহার করার বিষয়ে উৎসহ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্যদিকে আগেই অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব প্রদীপ ব্যস শুক্রবার অনেক রাতে সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি কোভিড ১৯-এর তৃতীয় তরঙ্গে সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, তৃতীয় তরঙ্গে কোভিড সংক্রমণ খুবই বড় আকার নিতে চলেছে। যদি সেই সময় ৮০ লক্ষ কোভিড কেস থাকে, আর তাতে যদি মাত্র এক শতাংশ মানুষেরও মৃত্যু হয় তাহলেও মৃতের সংখ্যা হবে ৮০ হাজার। তিনি আরও বলেছেন যাদের এখনও টিকা পাননি বা নেননি ও দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা জটিল রোগে আক্রান্ত তাদের কাছে তৃতীয় তরঙ্গ অত্যান্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট না থাকারও আর্জি জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তাদের। তিনি বলেছেন ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়া কখনই ঠিক নয়। ওমিক্রন নিয়ে সঠিক ও যুক্তিযুক্ত বৈজ্ঞানিক চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন ওমিক্রনের সঙ্গে এখনও এই দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। জিনোমিকক সিকোয়েন্সিং-এর রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও ৭০ শতাংশের বেশি ক্ষেত্রে ডেল্টার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট চিন্তার বলেও দাবি করেন তিনি।
Florona Virus: কোভিড-১৯ সংক্রমণের মধ্যেই নতুন বিপদ, 'ফ্লোরোনা' আক্রান্তের সন্ধান
Omicron Alert: ওমিক্রন সতর্কতা, চলতি সপ্তাহের শেষে দিকে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে ভারতে
Omicron ঠেকাতে কেন কার্যকর Covid Vaccine, ৫টি কারণ জানালেন সৌম্যা স্বামীনাথন