সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল অকালি দলের কিষাণ মার্চ

প্রথম দিনই মিছিল আটকাতে কঠোর হল চণ্ডিগড় পুলিশ

লাঠিচার্জ থেকে জলকামান কিছুই বাদ গেল না

শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল বহু নেতা কর্মীকে

 

গত ২৬ সেপ্টেম্বর এনডিএ ত্যাগ করেছিল শিরোমণি অকালি দল। সেইদিনই তারা জানিয়েছিল ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে কিষাণ মার্চ। সেইমতো বৃহস্পতিবার চণ্ডিগড়ে দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল-এর নেতৃত্বে সদ্য পাস হওয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শুরু হয়েছিল কিষাণ মার্চ। কিন্তু, মোল্লাপুর-এর কাছে শান্তিপূর্ণ সেই মিছিল বল প্রয়োগ করে আটকে দিল কেন্দ্রশাসিত চণ্ডিগড়ের পুলিশ। এই আইনের প্রতিবাদ জানিয়েই মোদী মন্ত্রীসভা ত্যাগ করা সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল-সহ আটক করা হল শিরোমণি অকালি দলের বহু নেতা-কর্মীকে।  

এদিন, শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল-এর নেতৃত্বে অকালি দলের কিষাণ মার্চে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল। স্বর্ণমন্দির থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল চণ্ডিগড়ের সীমান্তবর্তী মোল্লাপুরের কাছে আসতেই বাধা দেয় পুলিশ। গার্ডরেল দিয়ে অকালি দল ও কৃষকদের মিছিলকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। তাতে কাজ না হওয়ার পুলিশ বেলাগাম লাঠিচার্জ করা শুরু করে। শিরোমণি আকালী দলের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামানও ব্যবহার করা হয়। পরে সুখবীর সিং বাদল ও অন্যান্য বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

অন্যদিকে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা শিরোমণি অকালি দল নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদলের নেতৃত্বে এগিয়ে আসা মিছিলটিকে মোহালির জিরাকপুরে কাছে আটকায় পুলিশ। সেখানেও একপ্রস্থ লাঠিচার্জের পর হরসিমরত কৌর বাদল-সহ অকালি দলের বহু কর্মীকে আটক করা হয়।

পরে, শিরোমণি অকালি দলের বর্ষিয়ান নেতা প্রকাশ সিং বাদল বলেন, 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী কর্মীদের উপর বর্বর লাঠিচার্জ' দেশের গণতন্ত্রের জন্য এই দিনটিকে একটি বেদনাদায়ক ও অন্ধকার দিনে পরিণত করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, 'নির্মম স্বৈরাচারীতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অকালি দলের কর্মীদের চেয়ে আর কেউ ভালো জানে না।