সংক্ষিপ্ত
শনিবার চান্নিকে চমকৌর সাহেব বিধানসভা কেন্দ্রে অবৈধ খননের অভিযোগ থেকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়। এরপরেই সরব হন কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি পার্টি প্রধান (Delhi Chief Minister and Aam Aadmi Party chief) অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) রবিবার দাবি করেছেন যে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি (Punjab Chief Minister Charanjit Singh Channi) যে দুটো বিধানসভা কেন্দ্রে (Assembly constituencies) নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন, সেখানে নির্বাচনে হেরে যাবেন। পঞ্জাবের অমৃতসরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে দিতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, "চান্নি রাজ্যের দুটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন - চমকৌর সাহেব এবং ভাদাউর। আমরা তিনবার একটি সমীক্ষা চালিয়েছি যে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দুটি আসন থেকেই খারাপ ফল করবেন ও হেরে যাবেন"।
আপ প্রধান বলেছেন যে তাঁর দল চমকৌরে ৫২ শতাংশ ভোট পাবে এবং চান্নি ৩৫ শতাংশ ভোট পাবেন। ভাদৌরে, আপ ৪৮ শতাংশ ভোট পাবে, সেখানে চান্নি ৩০ শতাংশ ভোট পাবেন। সমীক্ষার ফল তুলে ধরে কেজরিওয়াল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এই দাবি করেছেন রবিবার। এরপরেই কেজরিওয়াল বলেন যদি চান্নি বিধায়ক হবে পারবেন না, তখন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন?
কেজরিওয়াল এদিন বলেন যে তার দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে বালি খনির একটি পূর্ণাঙ্গ ও সঠিক তদন্ত করবেন। চান্নি নিজেই তদন্ত করেছেন। ভগবন্ত মান যখন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তিনি বালি খননের সুষ্ঠু তদন্ত করবেন। তাঁর আত্মীয় যখন স্বীকার করেছেন যে সমস্ত টাকা চান্নির, তখন কেন ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না? প্রশ্ন তোলেন কেজরিওয়াল।
আরও পড়ুন - UP Elections 2022: হারার জন্যই ভোটে লড়েন হাসনুরাম - ৯৩বার হেরেছেন, লক্ষ্য ১০০
উল্লেখ্য, শনিবার চান্নিকে চমকৌর সাহেব বিধানসভা কেন্দ্রে অবৈধ খননের অভিযোগ থেকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়। এরপরেই সরব হন কেজরিওয়াল। ক্লিন চিট পাওয়ার পরে অবশ্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের নিন্দা করেন এবং তাকে মিথ্যাবাদী বলেন।
চান্নি ক্লিন চিট পেয়ে বলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন মিথ্যাবাদী। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু প্রমাণ দিতে পারেননি। রাজ্যপালের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও সত্যকে দমাতে পারেনি। সবসময় জয় সত্যেরই হয়।
নির্বাচনী সমীক্ষায় আম আদমি পার্টির সম্ভাবনা যথেষ্ট উজ্জ্বল বলে দেখা গেলেও দলের মধ্যে বর্তমানে যেভাবে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়েছিল, তাতে বেকায়দায় পড়েছিলেন কেজরিওয়াল। একদিন আগেই ফিরোজপুর গ্রামাঞ্চলের আপ প্রার্থী আশু বাঙ্গার (Ashu Bangar), দলের টিকিট ফিরিয়ে দিয়ে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছেন। তাঁর দল ছাড়া দলের আরও কিছু বিক্ষুব্ধ প্রার্থী-নেতাদের অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়ে উসকে দিয়েছে। জলন্ধরে রাজ্যের সহ-ইন-চার্জ রাঘব চাড্ডার (Raghav Chadha) বিরুদ্ধে কর্মীরা প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। অভিযোগ উঠছে দিল্লি থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এতে, আপ দলের প্রতি ভোটারদের আস্থা কমছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি দলীয় সূত্রে খবর, গত পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার যে মূল্যায়ন করেছিল আপ দল, তাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা না করাটা বড় ফ্যাক্টর হয়েছিল। তাই, একপ্রকার ব্যাকফুটে আসতে বাধ্য় হয়েছেন কেজরিওয়াল। রাজ্যের জনগণের যে সমর্থন আছে আপের প্রতি, তা জনমত সমীক্ষাগুলিতে প্রমাণিত। কিন্তু, সেই সমর্থনকে ভোটে রূপান্তর করাটা বড় চ্যালেঞ্জের।