সংক্ষিপ্ত
পঞ্জাবে ধরাসায়ী কংগ্রেস। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে প্রায় রেকর্ড করেই সীমান্তবর্তী এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে আম আদমি পার্টি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী চরণজিৎ সিং চন্নি দুটি আসন থেকেই পরাজিত হয়েছেন।
পঞ্জাবে (Punjab) ধরাসায়ী কংগ্রেস (Congress)। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে প্রায় রেকর্ড করেই সীমান্তবর্তী এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চলেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী চরণজিৎ সিং(Charanjit Singh Channi) চন্নি দুটি আসন থেকেই পরাজিত হয়েছেন। তিনি ভাদৌর ও চৌমকৌর সাবেহ দুটি আসনে হেরেছেন আপ প্রার্থীদের কাছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চন্নি ভাদৌর আসনে আপ প্রার্থী লাভ সিং উগোকের কাছে প্রায় ৩৭ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
কেই এই লাভ সিং উগোক (Labh Singh Ugoke) জানেন কী?
আপ জানিয়েছেন পঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যিনি হারিয়েছেন তিনি নিতান্তই এক আম আদমি। তিনি একটি মোবাইল মেরামতির দোকানের কর্মী। ২-১৩ সালে আম আদমি পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। তারপর থেকে সংগঠনের জন্য যানপ্রাণ লড়িয়ে দিয়ে কাজ করেছেন। চন্নিকে হারিয়ে রাতারাতি তিনি স্টার হয়ে গেছেন। তবে তাঁর বাবা ও মাও ছিলেন নিতান্তই সাধারণ। উগোকের বাবা ছিলেন গাড়ির চালক। আর মা ছিলেন সরকারি স্কুলের সাফাইকর্মী। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর এই জয় রীতিমত ইতিহাস তৈরি করেছে পঞ্জাবের রাজনীতিতে।
জয়ের পর আপ প্রার্থী জানিয়েছেন তিনি এই জয়ে তিনি খুশি। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র হওয়ার জন্য তাঁর দিকে নজর ছিল জাতীয় মিডিয়ার। তবে তিনি একটি কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন ভাদৌরের মানুষের সমস্যা সম্পর্কে চন্নি অবগত নন। কিন্তু তিনি স্থানীয় হওয়া এলাকার সমস্যাগুলি জানতেন। সেগুলি তুলে ধরেছিলেন ভোট প্রচারে। তিনি আরও বলেন তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রী ৭৪টি গ্রাম রয়েছে। প্রতিটি গ্রামের সমস্যা তিনি জানেন। আগামী দিনে সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা তিনি করবেন বলেও জানিয়েছেন।
লাভ সিং উগোক আরও বলেছেন চন্নির কাছে একদম অপরিচিত ভাদৌর। অথচ এই কেন্দ্রটি তাঁর পরিবারের মত। তিনি আরও বলেছেন, চন্নি এই এলাকার ১০টি গ্রামেরও নাম জানেন না। চন্নির কাছে ভাদৌর একটি নির্বাচনী কেন্দ্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
লাভ সিং উগোকে বেশিদূর পড়াশুনা করেননি। তবে তিনি কথা দিয়েছেন নির্বাচনী এলাকায় সমস্যাগুলি সমাধানে তিনি চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তেমন কিছুই করেননি পঞ্জাবের উন্নয়নের জন্য। তিনি আরও বলেছেন ১০ মার্চের পর পঞ্জাবের মানুষ আর তাঁকে খুঁজে পাবে না। চন্নির নামও স্থানীয় বাসিন্দারা মনে রাখবে না।