সংক্ষিপ্ত
যদিও চিন প্রাথমিকভাবে তার অপহরণের খবর অস্বীকার করেছিল। পরে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নিশ্চিত করে যে তাদের সীমান্তের পাশে একজন যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে।
চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (Chinese People's Liberation Army) বৃহস্পতিবার অরুণাচল প্রদেশ থেকে নিখোঁজ (missing) যুবককে (Arunachal Pradesh boy) ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) কাছে হস্তান্তর করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু(Kiren Rijiju)। কিরেন রিজিজু একটি টুইটে বলেছেন, "চিকিৎসা পরীক্ষা সহ যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।"
কিরেন রিজিজু বলেন, "চিনা PLA অরুণাচল প্রদেশের মিরম তারন নামের যুবককে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষা সহ যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।" তারন ১৮ই জানুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিলেন। যদিও চিন প্রাথমিকভাবে তার অপহরণের খবর অস্বীকার করেছিল। পরে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নিশ্চিত করে যে তাদের সীমান্তের পাশে একজন যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে।
অরুণাচলের তরুণের নাম মিরাম তারন। তিনি আপার সিয়াং জেলার জিদো গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৮ জানুয়ারি ২০২২ সালে বিশিং এলাকার সিয়াংর কাছ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাব মনে করা হয় চিনা সেনারা তাঁকে অপরহরণ করেছিল। ভারত ও চিনের মধ্যবর্তী সিয়াং নদীর কাছ থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অরুণাচলে সিয়াংকে অসমে ব্রহ্মপুত্র বলা হয়।
২০শে জানুয়ারি চিনা সেনা নিখোঁজ অরুণাচলি যুবকের পরিচয় জানার জন্য ভারতীয় সেনার থেকে বিশদ বিবরণ চেয়েছিল। পরবর্তীকালে, ভারতীয় সেনাবাহিনী মিরম তারনের পরিচয় নিশ্চিত করতে তার ব্যক্তিগত বিবরণ শেয়ার করে। মঙ্গলবার, পিএলএও নিশ্চিত করে যে তারনকে ভারতে প্রত্যাবর্তন করা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, সাধারণনতন্ত্র দিবসে চিনা সেনা ভারতীয় সেনা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে। সেই সময়ই চিনের তরফ থেকে ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন অরুণাচলের তরুণের মুক্তি আটকে রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার খারাপ আবহাওয়ার জন্য। তবে তরুণকে খুব তাড়াতাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পিএলএ অরুণাচল প্রদেশ থেকে পাঁচ তরুণকে আটক করেছিল। আটক করার এক সপ্তাহ পরেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও চিন কী কারণে ভারতীয় তরুণদের আটকে রেখেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
লাদাখ ও অরুণাচলে চিনা সেনার আগ্রাসন বাড়ছে। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে ভারতে। লাখাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে এক বছরেরও বেশি নয় ধরে ভারত ও চিনের মধ্য সমস্যা রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুই দেশের মধ্যে এশ দফায় দফায় বৈঠকও চলছে। অন্যদিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় দুই দেশের সেনা বাহিনী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে।