সংক্ষিপ্ত
- অরুণাচল প্রদেশ থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে
- তৈরি হয়েছে চিনের সেনা ঘাঁটি
- সৈন্য আর টহল বাড়িয়েছে বেজিং
- সতর্ক করা হয়েছে ভারতীয় জওয়ানদের
চিনা সেনার আগ্রাসন পূর্ব লাদাখ সীমান্তে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় বার আর সেই ভুল করতে চায় না চিন। তেমনই মনে করছে ভারতের প্রশাসনিক এক শীর্ষ আধিকারিক। কারণ বেজিং ইতিমধ্যেই অরুণাচল প্রদেশে ভারতের সীমান্তের ওপারে কমপক্ষে চারটি জায়গায় প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে। একটি সূত্র বলছে সেইসব এলাকাগুলিতে মজুত করা হচ্ছে অস্ত্রও।
একটি সূত্র বলছে রেজিং লা, রেচন লা এলাকায় লাল ফৌজের আগ্রাসন রুখে দিয়েছিল চিন। সেই ধাক্কা মানতে পারছে না শি জিংপিং প্রশাসন। আর সেই কারণেই এবার চিনের নজর গিয়ে পড়েছে অরুণাচল প্রদেশের দিকে। দীর্ঘ দিন থেকেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশের দিকে চিনের নজর ছিল। এক সেনা কর্তার কথায় অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের ওপারে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে চিনা ভূখণ্ডে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আর ওই এলাকাগুলি আশাফিলা, টিউটিং অ্যাক্সিস, চ্যাং টেজ আর ফিশটেন-২ সেক্টরের ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত।
একটি সূত্রের খবর চিন ওই এলাকাগুলি থেকে ভারতের দিকে আক্রামণ চালাতে পারে। বেশ কয়েকটি এলাকায় কৌশলগত উচ্চ স্থান দখলের দিকেই নজর রয়েছে। চিনা সেনার সেই প্রয়াস ব্যর্থ করতে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় জওয়ানদের সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সেনার সংখ্যাও। একটি সূত্র বলছে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে চিনা সেনার তৎপরতা বেড়েছে। নিয়মিত চিনা সেনাকে টহল দিতে দেখা গেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায় অনেক সময় ভারতীয় অঞ্চলের খুব কাছাকাছিও চলে আসছে টহলরত লালফৌজ।
সংসদে চিনের নাম নিয়ে লাল ফৌজের তীব্র সমালোচনা, ভারত যোগ্য জবাব দেবে বললেন রাজনাথ ...
লাদাখে ভারতীয় সেনাদের বিভ্রান্ত করতে নয়া কৌশল, বেজিং ভাইরাল করছে উপগ্রহ চিত্র ...
ডোকালাম সংর্ঘের সময় থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল চিনের নজর রয়েছে শিলিগুড়ি করিডোরের ওপর। আর সেই কারণের ভূটানকে না জানিয়েই তাদের জমি ব্যবহার করতে শুরু করেছে চিন। ঝাঁঝিরি নদীর তীরে রাস্তাও তৈরি করেছে পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। সেই একই কারণে অরুণাচল সংলগ্ন এলাকায় শক্তপোক্ত ঘাঁটি তৈরি করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চিন। সেনা সূত্রে খবর লাদাখে কৌশলগত অবস্থান অনুযায়ী ভারতীয় বাহিনীর তুলনায় কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে চিন। গত একমাস ধরে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় জওয়ানরা।