সংক্ষিপ্ত
- প্রতিরক্ষার গোপন তথ্য পাচার চিনকে
- দিল্লিতে গ্রেফতার এক চিনা মহিলা
- তার নেপালি সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে
- এই ঘটনায় নাম উঠে এসেছে এক ভারতীয় সাংবাদিকেরও
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে। এরমধ্যেই সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর। ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার স্পর্শকাতর তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের পাচার করার অভিযোগে বিদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।
ধৃত চিনা নাগরিকের নাম কিং শি। তিনি একজন মহিলা। ওই মহিলার সহযোগী হিসেবে এক নেপালি নাগরিককেও গ্রেফতার করেছে রাজধানীর পুলিশ। ধৃতের নাম শের সিং। সেইসঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে রাজীব শর্মা নামে এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকও। ওই সাংবাদিকের সঙ্গে মিলেই ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য চিনে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে দিল্লির পীতামপুরা থেকে রাজীব শর্মাকে চিনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। অফিশিয়ালস সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। আজকে গ্রেফতার করা নেপালি এবং চিনা নাগরিকের বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার জানান।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে দিল্লির পীতামপুরা থেকে রাজীব শর্মাকে চিনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। অফিশিয়ালস সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে রাজীবের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা নেপালি এবং চিনা নাগরিকের বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে চিনা গোয়েন্দা সংস্থাকে গোপন তথ্য পাচার করছিলেন ধৃত তিনজন। গোটা ঘটনার তদন্তে রয়েছেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার সঞ্জীব যাদব।
ধৃতদের থেকে বেশ কিছু ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এবং স্পর্শকাতর নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে শর্মার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু গোপন নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ওই সাংবাদিক প্রথমসারির এক সংবাদপত্রে কাজ করতেন। তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। মূলত পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকতা করতেন তিনি। যে তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের শেয়ার করা হয়েছে তা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গোপন তথ্য বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার সঞ্জীব যাদব জানিয়েছেন, 'শেল কোম্পানির মাধ্যমে রাজীব শর্মাকে টাকা দিচ্ছিল ধৃত চিনা এবং নেপালি নাগরিক। জানা গিয়েছে রাজীবকে চিনা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা নিযুক্ত করেছিল ভারতের সংবেদনশীল সব তথ্য পাচার করার জন্যে। সাংবাদিক হওয়ায় এই সব তথ্য পাওয়া তার জন্যে খুব সহজ ছিল।'
বর্তমানে রাজীব শর্মা ৬ দিনের হেফাজতে পুলিশের কাছে রয়েছে। দিল্লি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। কী করে রাজীবের সঙ্গে চিনা কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করল। চিনকে এখনও পর্যন্ত কোন সব তথ্য সে সরবরাহ করেছে। এই সবকিছু জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত আগস্টে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা বেশ কিছু চিনা নাগরিকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর।