বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে কি মাঝরাতে বড় রক্তপাত হতে চলেছিল? ছুরি হাতে ট্যাক্সি চালকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া হামলাকারীকে CISF কীভাবে কয়েক সেকেন্ডে কাবু করল? CCTV-তে ধরা পড়া প্রতিটি ফ্রেম ঘটনাটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে - সোহেল আহমেদের আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?
Bengaluru Airport Knife Attack: বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Bengaluru Airport) রবিবার গভীর রাতে একটি বিপজ্জনক ঘটনা অল্পের জন্য এড়ানো গেছে। এখানে এক ব্যক্তি লম্বা ছুরি নিয়ে ট্যাক্সি চালকদের উপর হামলা করার চেষ্টা করে। CISF-এর দ্রুত পদক্ষেপে একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে সোহেল আহমেদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাকে সিআইএসএফ ঘটনাস্থলেই কাবু করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং CCTV ফুটেজ পুরো বিষয়টিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। অভিযুক্তের আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?
সত্যিই কি বিমানবন্দরে বড় ধরনের হামলা হতে চলেছিল?
সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, রাত প্রায় ১২টার দিকে সোহেল আহমেদকে টার্মিনাল-১ এর আগমন এলাকায় দ্রুত দৌড়াতে দেখা যায়। তার হাতে একটি লম্বা স্টিলের ছুরি ছিল এবং সে সরাসরি দুই ট্যাক্সি চালকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এই সবকিছু মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে এবং আশেপাশে উপস্থিত লোকজন ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে।
CISF-এর এএসআই/এক্সেকিউটিভ সুনীল কুমার এবং তার দল এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে হামলাকারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। তাদের দ্রুত পদক্ষেপ কেবল ট্যাক্সি চালকদের জীবনই বাঁচায়নি, যাত্রীদেরও একটি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছে।
অভিযুক্ত এবং ট্যাক্সি চালকদের মধ্যে কী নিয়ে বিরোধ হয়েছিল?
তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্ত এবং ট্যাক্সি চালকদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল। এই বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে অভিযুক্ত হঠাৎ রেগে গিয়ে ছুরি বের করে হামলা করতে ছুটে আসে। কিন্তু এটা কি সত্যিই শুধু একটি ঝগড়া ছিল, নাকি এর পেছনে কোনো গভীর কারণ লুকিয়ে আছে? পুলিশ বর্তমানে সব দিক থেকে তদন্ত করছে।
CCTV ফুটেজে কী দেখা গেছে? রহস্য কেন বাড়ল?
CCTV-তে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে অভিযুক্ত पूरी প্রস্তুতি নিয়ে ট্যাক্সি চালকদের দিকে দৌড়াচ্ছিল। কিন্তু বড় প্রশ্ন হলো, সে এত বড় ছুরি নিয়ে বিমানবন্দরের আশেপাশে কীভাবে ঘুরছিল? বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোনে এই ধরনের অস্ত্রের উপস্থিতি অনেক প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে অভিযুক্ত কীভাবে ছুরি নিয়ে সেখানে পৌঁছাল এবং তার আসল উদ্দেশ্য কী ছিল।
CISF-এর পদক্ষেপ কীভাবে বড় ঘটনা থেকে সুরক্ষার ঢাল হয়ে উঠল?
প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে CISF টিম কেবল অভিযুক্তকে নিয়ন্ত্রণেই আনেনি, তার কাছ থেকে ছুরিও কেড়ে নেয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ CISF এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করে তাদের দলের তৎপরতার প্রশংসা করেছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, “সময়মতো হস্তক্ষেপে একটি বড় অপরাধ এড়ানো গেছে।”
এখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে (Arms Act) মামলা দায়ের করেছে এবং তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তার অতীত এবং সাম্প্রতিক কার্যকলাপও খতিয়ে দেখছে, যাতে জানা যায় এটি কেবল একটি ঝগড়া ছিল নাকি অন্য কোনো পরিকল্পনার অংশ।


