ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ জানিয়েছে যে ক্যামব্রিজশায়ারের হান্টিংডন স্টেশনে ট্রেনটি থামানো হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে দশজন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইংল্যান্ডে একটি ট্রেনে এক ব্যক্তি ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রীর উপর হামলা চালালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি ডঙ্কাস্টার থেকে লন্ডনের কিংস ক্রস স্টেশনে যাচ্ছিল। অত্যন্ত ব্যস্তবহুল ট্রেনপথ এটি। হামলাকারীরা সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। দ্য টাইমস-কে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি বড় একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে যাত্রীদের শাসাতে থাকেন। সেই পরিস্থিতিতে ভিড় ট্রেনে যাত্রীদের মধ্যে হুড়েহুড়ি পড়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিতে ট্রেনের ভিতরে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তখনই যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে ওই দুষ্কৃতী।
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ জানিয়েছে যে পুলিশের কাছে খবর আসে ট্রেনে হামলা হয়েছে। হাটিংডনের একটি স্টেশনে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল পুলিশের বিশাল বাহিনী, অ্যাম্বুল্যান্স এবং উদ্ধারকারী দল। ট্রেনটিকে থামিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হামলায় কত জন জড়িত ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে এই হামলাকে একটি বড় ঘটনা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সন্ত্রাস দমন ইউনিট তদন্তে সহায়তা করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে ট্রেন থামার পর প্ল্যাটফর্মে একটি বড় ছুরি হাতে একজন ব্যক্তিকে দেখেছেন, যাকে পরে পুলিশ টেজার দিয়ে থামিয়ে দেয়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার কী বলেছেন?
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার ঘটনাটিকে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, "সকল ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমি সমব্যথিত। আমি পুলিশ এবং জরুরি পরিষেবাগুলিকে তাদের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানাই।"
ছুরির ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে
গত কয়েক বছরে ব্রিটেনে ছুরি হামলার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ৫০,০০০ এরও বেশি ছুরি-সম্পর্কিত অপরাধের খবর পাওয়া গেছে, যা ২০১৩ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মতে, প্রায় ৬০,০০০ ছুরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অথবা স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকার আগামী দশ বছরে ছুরির অপরাধ অর্ধেক কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। জনসমক্ষে ছুরি বহন করলে চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। তবে, গত বছরে ছুরি হত্যার ঘটনা ১৮ শতাংশ কমেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


