সংক্ষিপ্ত

অনেকেই নিয়ম অনুযায়ী আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে হাজিরা দিচ্ছেন না। এবার থেকে তাদের জন্য অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশকা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মোবাইল ফোন নির্ভর ফেস অথেনটিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে।

ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা পৌঁছেছে ৫০ শতাংশে। তবে এরই মাঝে নয়া নিয়ম নিয়ে ঘুম উড়লো সরকারি কর্মীদের। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে একাধিক বিষয়ে কর্মচারীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে অনেকেই নিয়ম অনুযায়ী আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে হাজিরা দিচ্ছেন না। এবার থেকে তাদের জন্য অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশকা অনুযায়ী এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মোবাইল ফোন নির্ভর ফেস অথেনটিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে। যার মাধ্যমে কর্মীর অবস্থান সম্পর্কেও জানা যাবে। থাকবে জিও-ট্যাগিংও।

কেন্দ্র সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত কর্মীরা দেরি করে অফিসে ঢুকছেন এবং যারা নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ এবার থেকে নিজের সময় মতো অফিসের ঢোকার দিন শেষ। তবে সব ক্ষেত্রে কড়াকড়ি হবে না। যদি কোনো কর্মচারী দেরি হওয়ার বৈধ কারণ দেখাতে পারেন তাহলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ‘ছাড়’ মিলবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা সকল মন্ত্রকের সচিবদের কাছেই হাজিরা সংক্রান্ত নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে।

সরকারি কর্মীদের জন্য আধার সংযুক্ত বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রেজিস্টারের হাজিরার সঙ্গে কর্মীদের উপস্থিতির গরমিলের বিষয় মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। নিয়মিত হাজিরা পোর্টাল থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেই মতো ‘ফাঁকিবাজ’ কর্মচারীদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রের কর্মীরা অফিসে আসতে দেরি করলে তাদের আর্ধেক দিনের ক্যাজুয়াল লিভ (সিএল) কেটে নেওয়া হবে। যদি কোনো সরকারি কর্মী মাসে দু’বার দেরি করে আসার পরেও যদি তৃতীয়বার একই ‘ভুল’ করেন, তখন এই নিয়ম কার্যকর হবে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।