সংক্ষিপ্ত
একটি বিড়ালের জন্য দুটি দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এমনকী পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে যায় যে তা গিয়ে পৌছয় পুলিশের কাছে।
তেলেঙ্গানায় তোলপাড়। লালমোহন বাবু থাকলে এই গল্পের শুরুটা এভাবেই করতেন বোধহয়। তবে যা ঘটল তাকে তোলপাড় না বললে ভুল হবে বোধহয়। কাহিনিটা শুনবেন? এই গল্পের নায়ক এক বিড়াল ছানা। অবাক হচ্ছেন? হবেন না। কারণ ইতিমধ্যেই তিনি রীতিমত ফেমাস। তেলেঙ্গানার (Telangana) সূর্যপেট জেলায় তোলপাড় ফেলে দিল একটা বিড়াল ছানা।
ঘটনাটি মঙ্গলবার সূর্যপেট জেলার (Suryapet district) হুজুরনগরে ঘটে। এখানে একটি বিড়ালের (Kitten) জন্য দুটি দল সংঘর্ষে (Clash) জড়িয়ে পড়ে। এমনকী পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে যায় যে তা গিয়ে পৌছয় পুলিশের (Police) কাছে। ফানিগিরি রামাস্বামী গুট্টার কলোনিতে বানোতু চুক্কাম্মা নামে এক মহিলা থাকেন। কিছু দিন আগে তিনি স্থানীয় চৈতন্য ডিগ্রি কলেজের আশেপাশে একটি বিড়াল দেখতে পান। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে লালন পালন করতে থাকেন। চারদিন আগে রামস্বামীগুট্টায় অনুষ্ঠিত মেলায় অনেকেই কৌতূহল নিয়ে বেড়ালটিকে দেখতে আসতেন।
গত কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষ কুকুর পোষা ছেড়ে বিড়ালের দিকে মনোনিবেশ করেছে। এখন প্রায়ই বিভিন্ন ঘরে হাজার হাজার টাকা দিয়ে কেনা হচ্ছে সুন্দর বিড়াল। এই বিড়ালটি এমন একটি প্রজাতির অন্তর্গত। যাইহোক, চুক্কাম্মা, যিনি বিড়াল লালন-পালন করছেন, তিনি হয়তো এই বিষয়ে সচেতন নন।
এরপর স্থানীয় বিঘ্নেশ্বর স্বামী মন্দিরের কাছে দাদনালা চেরুভুর বাসিন্দা মাদেলা মুত্যালু দেখতে পান, যে বিড়ালটিকে চুকাম্মা লালন পালন করছেন, সেটি তাদের বিড়াল। এই বিড়াল দুই বছর আগে তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। এরপর মুতয়ালুর পরিবার চুক্কাম্মার বাড়িতে গিয়ে বিড়ালটিকে ফিরিয়ে দিতে বলে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তিনি বিড়াল ছেড়ে দিতে নারাজ। মুত্যালু জানান, তিনি মহীশূরে ৫,০০০ টাকায় বিড়ালটি কিনেছিলেন
চুক্কাম্মা মুতয়ালুর যুক্তি মানতে পারেননি। এরপরেই দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। উভয় সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন লোক থানায় জড়ো হয়েছিল। পুলিশ উভয় পক্ষকে তলব করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।