ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের জন্য ১০০ টাকা সুপারি দিল সহপাঠী, তারপর কী হল
সপ্তম শ্রেণির সহপাঠীকে ধর্ষণ আর খুনের জন্য সুপারি দিয়েছে তারই এক সহপাঠী। স্কুলের মধ্যেই ঘটেছে গোটা ঘটনা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন
হাড়হি্ম করা ঘটনা
সপ্তম শ্রেণির সহপাঠীকে ধর্ষণ আর খুনের জন্য সুপারি দিয়েছে তারই এক সহপাঠী। স্কুলের মধ্যেই ঘটেছে গোটা ঘটনা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন
ঘটনাস্থল
এই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে পুণের দৌন্ডের একটি নামী ইংরিজে মাধ্যম স্কুলে। স্কুলের এক পড়ুয়া অন্য পড়ুয়াকে স্কুলের ছাত্রীকে খুন আর ধর্ষণ করার সুপারি দিয়েছে।
সুপারি দেওয়ার কারণ
যে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া সুপারি দিয়েছে সে তার এক সহপাঠীর ওপর প্রবল বিরক্ত ছিল। তাই খুন করতে উদ্যোগী।
বিরক্ত হওয়ার কারণ
পুলিশের অনুমান, ছাত্রী সংশ্লিষ্ট পডুয়ার বিরুদ্ধে ক্লাসের এক শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। রিপোর্ট কার্ড অর্থার রেজাল্টে বাবা বা মায়ের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট ছাত্র নিজেই সই করেছিল। সই জাল করার অভিযোগে ক্ষেঁপে গিয়েছিল পড়ুয়া।
তারপরই সুপারি
এই ঘটনার পরই সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া নবম শ্রেণীর পড়ুয়া এক ছাত্রের কাছে যায়। তাতে ছাত্রীকে খুন আর ধর্ষণ করার জন্য ১০০ টাকা সুপারি দেয়।
তারপর কী হল ?
যদিও এই ঘটনার পরই নবম শ্রেণীর ছাত্র গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে দেয় স্কুল শিক্ষকদের। শিক্ষকরাও সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়াকে ডেকে ধমক দিয়ে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনা গত ২৩ নভেম্বর।
সম্প্রতি বেঁকে বসে ছাত্রীর পরিবার
সম্প্রতি ছাত্রীর পরিবার গোটা ঘটনার কথা জানতে পারে। স্কুলে যায়। স্কুল প্রশাসন আর স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরব হয়। পুলিশেরও দ্বারস্থ হয় স্কুলের বিরুদ্ধে।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ
মেয়েটির বাবা সুপারি দেওয়া সপ্তম শ্রেণীর ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর রবিবার দৌন্ড পুলিশ প্রধান শিক্ষক এবং স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
অভিযোগ দায়ের
রবিবার প্রধান শিক্ষক ও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছাত্রের কী অবস্থা
ছেলেটির বয়স এখনও ১২ বছর হয়নি এবং কিশোর বিচার আইন ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলার অনুমতি দেয় না বলে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।