দেরাদুনের মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, দোকানপাট ভেসে গেছে এবং দুজন নিখোঁজ। ভারী বর্ষণে তমসা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায়  তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসন উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ চলছে এবং স্কুল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।

দেরাদুনে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি: উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনের বিখ্যাত সহস্রধারায় গভীর রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের পর মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় অনেক দোকানপাট ভেসে গেছে। জেলা প্রশাসন স্থানীয় মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। এই ঘটনায় এখনও কমপক্ষে দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

দেরাদুনের সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুসারে, ভারী বৃষ্টিপাত এবং মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে দেরাদুনের সমস্ত স্কুল কয়েকদিন বন্ধ থাকবে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন যে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছেন এবং পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখছেন। তিনি একটি টুইট বার্তায় বলেছেন যে জেলা প্রশাসন, এসডিআরএফ এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সাথে ফোনে কথা বলেছেন এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্ভাব্য সকল সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন এবং বলেছেন যে এই সংকটের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তমসা নদীতে জল বেড়েছে

মুখ্যমন্ত্রী ধামি প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সম্পূর্ণ তৎপর এবং উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তামসা নদীতে জল বেড়েছে এবং তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির ডুবে গেছে। মন্দিরের পুরোহিত আচার্য বিপিন যোশী বলেন, “ভর ৫টা থেকে নদীতে তীব্র স্রোত শুরু হয়েছে। পুরো মন্দির চত্বর ডুবে গেছে। অনেকদিন পর এই প্রথম এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। এই সময়ে মানুষের নদীর কাছে যাওয়া উচিত নয়। মন্দিরের গর্ভগৃহ নিরাপদ।”