সংক্ষিপ্ত
লোনাক হ্রদে মেঘ বিস্ফোরণের ফলে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যার ফলে প্রচুর পরিমাণে জল বয়ে যায়। যা চুংথাং বাঁধকে পুরো পুরি ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
হ্রদ বিস্ফোরণের কারণে সিকিমের চুংথাং বাঁধ পুরোপুরি ভেসে গেছে। বাঁধ ভাঙার কারণ জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। তিনি এদিন স্পষ্ট করে জনিয়ে দিয়েছেন নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারণে বন্যার জলের তোড়ে ভেঙে গেছে পুরো বাঁধ।
লোনাক হ্রদে মেঘ বিস্ফোরণের ফলে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যার ফলে প্রচুর পরিমাণে জল বয়ে যায়। যা চুংথাং বাঁধকে পুরো পুরি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এখানেই রয়েছে একটি জলবিদ্যুৎপ্রকল্প। যেটি থেকে রাজ্য সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ পায়। চুংথাং বাঁধ ভেসে যাওয়ার কারণে শহর ও গ্রাম প্লাবিত হয়।
এদিন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাঁধটি পুরোপুরি ভেসে গেছে কারণ সেটির নির্মাণকাট সঠিকভাবে হয়নি। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী তামাং আরও বলেছেন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সিকিমের উত্তরাংশে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করা যায়। পুরোপুরি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
তিস্তার বন্যার কারণে সিকিমের ১৩টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে। শুঘুমাত্র মাঙ্গান জেলাতেই ৮টি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গেছে। গ্যাংটকে নষ্ট হয়েছে তিনটি সেতু, দুটি সেতু নষ্ট হয়েছে নামচিতে।
সিকিমের বাঁধভাঙা বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১। বুরদাং এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ২৩ জন সেনা সদস্যের জন্য সাত জনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ১৫ জন জওয়ানের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বন্যা বিপর্যস্ত এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ২৪১১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২২ হাজার মানুষ। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্ধার ও ত্রানের কাজে সিকিম সরকারের পাশে রয়েছে। বন্যায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চুংথাং শহর।