সংক্ষিপ্ত
তাওয়াং সীমান্তে ভারত - চিন সংঘর্ষ নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বিবৃতি দাবি কংগ্রেসের। বিষয় সংবেদনশীল বলে রাজি হয়নি কেন্দ্র সরকার। প্রতিবাদ ওয়াকআউট কংগ্রেসের।
লাদাখের পর এবার চিনা সেনার নজর ভারতের তাওয়াং সেক্টরে। সোমবারই চিনা সেনার হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়ে এদিন সংসদের রাজ্যসভায় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বিবৃতি দাবি করে বিরোধীরা। কিন্তু তাতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদরা রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে।
কংগ্রেস সদস্যরা বলেছেন তারা তাওয়াংএর চিনা হামলার বিষয়ে যদি স্পষ্ট করে আলোচনা না হয় তাহলে সংসদের অধিবেশনে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। সিপিআই, সিপিআই-এম , শিবসেনা, আরজেডি, এসপি ও জেএমএম-এর সদস্যরাও কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে রাজ্যসভা ত্যাগ করেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ বলেছেন, যেহেতু বিষয় সংবেদনশী প্রকৃতির তাই কোনও স্পষ্টীকরণের অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি অতীতের বেশ কয়েকটি ঘটনা উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন। বলেন এজাতীয় ঘটনা নিয়ে হাউসে কোনও বিবৃতি দেওয়া সর্বদা সম্ভব নয়।
রাজ্যসভার বিরোধীদল নেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, বিরোধীরা বারবার চিনা সীমালঙ্ঘন নিয়ে বিতর্কের অনুমতি চাইছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনার অনুমতি দেয়নি। রাজস্থান সিং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হয়েও কোনও কথা না বলে সংসদ ছেড়ে চলে যায়। তাই কংগ্রেস সদস্যরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করে। তিনি আরও বলেছেন, সরকার কোনও ব্যাখ্যা দিতে রাজি না হলে হাউসে থাকার কোনও মানে হয় না। তবে কংগ্রেস যে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে - তাও জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
ভারতীয় ও চিনা সৈন্যরা ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ও মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে উভয় সেনা দলের কয়েক জন সদস্য আহত হয়েছে। সোমবারই জানিয়েছে ভারতীয় সেনা বহিনী। পূর্ব লাদাখে দুই পক্ষের মধ্যে ৩০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সীমান্ত স্থবিরতার মধ্যে গত শুক্রবার সংবেদনশীল সেক্টরে এলএসি বরাবার ইয়ংটসের কাছে সংঘর্ষ হয়েছিল।
আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেছেন, ডেপুটি চেয়ারম্যান ডেপুটি চেয়ারম্যান বিভিন্ন বিষয় উপস্থান করেছেন। কিন্তু ১৯৬২ সালের সংসদের অধিবেশনের কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। সেই সময় ভারত চিন সময়ে বিষয় নিয়ে হাউসে বিতর্ক হয়েছিল। মনোজ ঝাঁ-এর অভিযোগ, এই সরকার ভারত চিন সংঘাতকে নির্লজ্জভাবে অস্বীকার করছে। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, সংসদে তাদের সংসদীয় সুযোগ সুবিধে হ্রাস করা হচ্ছে। কণ্ঠ রোখ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
'আমাকে কিছুটা সময় দিন', বাঙালি বিরোধী মন্তব্য কলকাতা পুলিশের সমনের জবাব পরেশ রাওয়ালের
'মেঘালয়ের মানুষের হাসি মুখ আমার মনে থাকবে চিরকাল', বললেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়