সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকলের মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক দলীয় শৃঙ্খলায় জোর দিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেসের সভাপতি হয়েই প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি এমনই একদিন এই বৈঠক করলেন যেদিন দিল্লি পুরসভার নির্বাচন চলছে। অন্যদিকে আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। এদিন কংগ্রসেরে পক্ষ থেকে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রস্তুতি চলছে। তবে খাড়গের ডাকা ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গান্ধী, অশোক গেহলট-সহ প্রথম সারির নেতারা। মূলত সংসদে শীতকালীন অধিবেশন নিয়েই আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। তেমন জানিয়েছে না প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি কংগ্রেস নেতা।
অক্টোবর মাসে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি দায়িত্ব নিয়েই জানিয়েছিলেন, কংগ্রসের সর্বস্তরের ঐক্য আর শৃঙ্খলার ওপরই জোর বেশি দেবেন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি ওয়ার্কিং কমিটির ৪৭ সদস্যের একটি স্টিয়ারিং প্যানেল গঠন করেছিলেন। যেখানে ওয়ার্কিং কমিটির অধিকাংশ সদস্যই রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে খাড়গে বলেছেন, দলের ওপর তলা থেকে নিচু তলার সকল কর্মী ও নেতাকে জবাবদেহী করতে হবে। তাহলেই দলের শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। দেশ ও দল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের ওপর কঠিন সময় গুরু দায়িত্ব দিয়েছে। আর তাতেই প্রত্যেকদের দায়িত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ আর গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে চলবে না। যারা এই কাজ করবে না তাদের অন্যদের জন্য পথ ছেড়ে দিতে হবে।
সম্প্রতী কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শচীন পাইলটকে গদ্দার বলে একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে রীতিমত উত্তাল ছিল রাজস্থানের রাজনীতি। সেই বিতর্কের পরই এদিনের বৈঠকে খাড়গে দলের শৃঙ্খলার কথা বলেছেন। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও মল্লিকার্জুন খাড়গের নিশানায় ছিল বিজেপি। তিনি বলেন, দেশে সর্বদা ঘৃণার বীজ বপন করছে বিজেপি। বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে। যারা শসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের দুর্বল করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস তার ভোটের ভাগ্য পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তীব্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কারণ আরও কয়েকটি রাজ্যে পরের বছর ভোট হবে। দেশব্যাপী ভারত জোড়ো যাত্রা - যা ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বরে চালু করা হয়েছিল এবং রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে রয়েছে - এই ইভেন্টগুলিও কংগ্রেস প্রধানের মন্তব্যে ঠাঁই পেয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ
ছাত্রদের পড়াশুনায় মনোযোগী করতে স্কুল স্মার্টফোন নিষিদ্ধ, প্রধান বললেন ফল মিলেছে হাতেনাতে