সংক্ষিপ্ত

কোভিড মহামারি বদলে দিয়েছিল ছাত্রদের জীবন। পড়ুয়াদের পড়ার প্রতি মনোযোগ কমছিল। পাল্টা মোবাইলের প্রতি আশক্তি বাড়ছিল। তাতেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

পড়ুয়াদের উন্নতির লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম ম্যাসাচুসেটের একটি বাক্সটন স্তুল নামে একটি হাইস্কুল। তাতেই এসেছে বড় সাফল্য। তেমনই দাবি করেছেন নিউ ইয়র্ক পোস্ট। কোভিড -১৯ মহামারির সময় বন্ধ ছিল অফলাইন ক্লাস। তারপরই মহামারি শেষ হওয়ার পরে খুলে গেল তখন পড়ুয়ারা রীতিমত তাদের হাতের অ্যান্ডরয়েড ফোন বা আইফোনে আসক্ত ছিল। স্কুল খোলার পরে ছাত্ররা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেও পারছিল না। তাদের যোগাযোগে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। কোনও কাজই তারা দলবদ্ধ হয়ে করতে পারছিল না। এগুলি উপলব্ধ করেই হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ বড় সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল। তারপরই ধীরে ধীরে পরিবর্তন তাদের চোখে পড়ে।

স্কুলের প্রধান নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'স্কুলে এসেও শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনেই সময় কাচাচ্ছিল। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল না। কীভাবে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে হয় তাও তারা ভুলে গিয়েছিল।' তিনি আরও বলেছেন, ছাত্ররা সর্বদা স্কুলে বিচ্ছিন্নভাবে একা একা বসে মোবাইল দেখত। ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এইসব দেখেই স্কুলের ক্যাম্পাসের মধ্যে স্মাটার্টফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তাতে রীতিমত সাফল্য পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

স্কুল ক্যাম্পাসের ১১৪ একর এলাকায় স্মার্টফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ কর্মীরাও স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এটি এখনও পর্যন্ত চলছে। স্কুলের প্রধান জানিয়েছেন এই নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই শিক্ষার্থীরা উন্নতি করেছেন। তারা পরিবর্তন মেমনে নিয়েছে। তবে প্রথম দিকে যখন নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল তখন অনেক ছাত্রই ভয় পেয়েছিল। বলেছিল এটি গুরুত্বপূর্ণ গেজেট। এটি না থাকলে জীবন অচল হয়ে যাবে। কিন্তু তারাই পরবর্তীকালে এই পরিস্থিতি মেনে নিয়েছিল।

স্কলের প্রধান জানিয়েছেন যেসব ছাত্ররা বাড়ি থেকে আসা যাওয়া করল তারা বাড়িতেই ফোন রেখে যেত। আর যেসব ছাত্ররা বোডিং-এ থাকত তারা স্কুলেই জমা রাখত মোবাইল ফোনটি। শিক্ষার্থীরা সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারত। যার মাধ্যমে তারা বাড়ির সঙ্গে ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারত। সাধারণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়াশুনার কোনও ক্ষতি হয় না, বলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি। কারণ এতে কোনও সোস্যাল মিডিয়া, ইন্টারনেট ব্রাউজার- জাতীয় কোনও সফ্টওয়ার থাকে না। তবে স্কুলে পড়ুয়াদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার জন্য ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এক শিক্ষক জানিয়েছেন, এখন ছাত্রদের আচরণ অনেকটা স্বাভাবিক। তারা পড়াশুনায় মনবসাতে পেরেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগে পডুয়ারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার জন্য ঘন ঘন শৌচালয়ে যাওয়ার অনুমতি নিত। কিন্তু এখন আর তার কোনও প্রয়োজন হয় না। ক্লাস রীতিমত স্বাভাবিক ছন্দেই চলে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ

প্রেমিকের স্বামীকে ধীরে ধীরে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী, মৃত্যুর অনেক পরে রহস্যের জট খুলছে মুম্বই পুলিশ

আজ বিয়ের পিঁড়িতে বাম নেতা শতরূপ ঘোষ, ছবি শেয়ার করে তা জানালেন উষসী চক্রবর্তী

পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন যুযুধান দুই নেতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর শুভেন্দু অধিকারী এক অপরকে নিশানা করেন