সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধী বলেন, আদানিদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগগুলি অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (OCCRP) মাধ্যমে সামনে এসেছে।
আদানি ইস্যুতে আবারও সরব হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী আদানিদের ব্যবসা নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী এবার স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন এই বিষয় নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনেরও প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করছেন না। এই অভিযোগ করছে একাধিক সংসবাদপত্র। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর উত্তরের প্রতীক্ষায় রয়েছেন তিনি।
রাহুল গান্ধী বলেন, আদানিদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগগুলি অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (OCCRP) মাধ্যমে সামনে এসেছে। তাঁর প্রশ্ন আদানিরা এই দেশের যে বিমান বন্দর ও পোর্টগুলি কিনছে তার সঙ্গে একজন চিনা ব্যক্তি কেন যুক্ত? তারপরই তিনি জানতে চান কার টাকা দিয়ে দেশের সম্পত্তি কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া জরুরি। রাহুল বলেন, 'আমি বুঝতে পারছি না কেন প্রধানমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছেন না। কেন তিনি নীরব।' রাহুল গান্ধী আরও বলেন, কেন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করছেন না যে এই বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হবে। যারা দোষী তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। সেপ্টেম্বর মাসেই দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ স্থানীয় বৈঠক হবে। বিশ্বের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতারা দিল্লিতে আসবেন। তার আগেই রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকও আসন্ন। এই অবস্থায় বিরোধীরা যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৎপর তাও পরিষ্কার করছে রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ আদানি কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানি। বিনোদ আদানির মাধ্যমেই বিদেশী অংশীদারিত্ব এসেছে। রাহুলের প্রশ্ন কী ভূমিকা রয়েছে বিদেশী নাগরিক নাসের আলি আর চ্যাং চুং লিয়ের।
OCCRP এর রিপোর্টে বলা হয়েছে আদানি গ্রুপের শেয়ারে কারচুপি করা হয়েছে। যার অর্থ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে ফাঁড়া আদানি গোষ্ঠীর ওপর। সংস্থার অভিযোগ গোপনে বাপিরাপিক বন্ধু মহলে নিজস্ব শেয়ার কিনে স্টক এক্সটেঞ্জে মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে বেনামি বিনিয়োগকারীরা অফরোস কাঠামোর মাধ্যমে আদানি গ্রুপের স্টকগুলি কিনেছে আর বিক্রি করছে। যা পুরোপুরি বেআইনি।
এর আগে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে কংগ্রেস নেতা আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। হিন্ডেনবার্গের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল আদানিরা। যদিও এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে।