সংক্ষিপ্ত

  • করোনা টিকায় ছাড়পত্র দেওয়ার পরই রাজনীতি শুরু 
  • কংগ্রেস ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে 
  • কোভ্যাক্সিন নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব 
  • অখিলেশের পাশে দাঁড়াল কংগ্রস নেতৃত্ব 
     

করোনাভাইরাসের টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরই আসরে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিরোধিতা করে আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। শশী থারুর করোটার টিকা কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের অপর এক নেতা রসিদ আলভি টিকাকরণের বিরোধিতা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টর নেতা অখিলেশ যাদবের পাশে। তাঁরও আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মুখ বন্ধ করতে এই করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এখনও এটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান শেষ করেনি। কিন্তু তারআগেই কেন এই ভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হল? এটি বিপজ্জনক হতে পারে বলেও তিনি দাবি করেছেন। কিনি বলেছেন দয়া করে এখনও স্পষ্ট করা উচিৎ যে সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। তার আগেই অস্ট্রোজেনেকার ভ্যাক্সিন টিকা হিসেবে দেওয়া যেতে পারে বলেও তিনি দাবি করেছেন। 

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশই ওই প্রশ্ন তুলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসর পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, দুটি ভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার সময় কী যাঁচাই করা হয়েছিব তৃতীয় পর্যায়ের ক্নিলিক্যাল ট্রায়াল ও সমস্ত প্রোটোকল? কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও প্রশ্ন তুলেছেন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পর্ব শেষ হওয়ার আগেই কী করে তাতে অনুমোদন দেওয়া হল। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাও এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, বিশেষজ্ঞ প্যালেনের আগে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোভ্যাক্সিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান শেষ করতে পারেনি। তাই সুরক্ষা ও কার্যকারীতি সম্পর্কিত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়নি। কিন্তু তারপরেই এই ভ্যাক্সিনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম পর্বে টিকাকরণে করা হবে স্বাস্থ্য কর্মী ও ফ্রন্ট লাইন কর্মীদের। তাই কোভ্যাক্সিন কতটা নিরাপদ তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

অন্যদিকে কংগ্রেসের আরও এক নেতা রশিদ আলভিও করোনা টিকা নিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন গত পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি ক্রমাগত চাপ তৈরি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ওপর। সিবিআই আর ইনকম ট্যাক্স আর ইডির আধিকারিকদের  দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাতে আশঙ্কা করা যেতেই পারে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ব্যবহার করা যাতে পারে। এই ভয়  থাকাটা স্বাভাবিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

অখিলেশ যাদব করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে গতকালই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বিজেপি টাকা বলে চিহ্নিত করে বলেছিলেন, তিনি ভ্যাক্সিন নেবেন না। রাজ্যের সমস্ত মানুষদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হলেও তাঁর আশঙ্কা কাটছে না টিকা নিয়ে।