সংক্ষিপ্ত

  • টেলিভিশনের বিতর্ক অনুষ্ঠানে কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না কংগ্রেস
  • দলের তরফে নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত
  • দলের মুখপাত্র রনদীপ সিং সূরজেবালা  টুইট করে জানালেন সেকথা

সপ্তদশ লোকসভা ভোটের ফলাফলে দেশজুড়ে কার্যত ভরাডুবির শিকার হয়েছে কংগ্রেস। আর এই অবস্থায়, আগামী আক মাস দেশের কোনও টেলিভিশন চ্যানেলের কোনও রাজনৈতিক বিতর্ক অনুষ্ঠান বা আলোচনাচক্রে অংশ নেবেন না দলের কোনও প্রতিনিধি। দলের মুখপাত্র রনদীপ সিং সূরজেবালা আজ টুইট করে সেরকমটাই জানিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের সভাপতি হিসেবে দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের কাথে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেইমতো ভোটের আগে প্রচারেও নেমেছিলেন জোড় কদমে। কিন্তু স্ট্র্যাটেজিতে ফাঁক থেকে যাবে, তা হয়তো বুঝতেই পারেনি তাঁরা। লাগাতার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রচামর, রাফাল প্রসঙ্গ, 'চৌকিদার চোর হ্যায়'-ভোটপ্রচারে কোনও স্ট্র্যাটেজিই যে ধোপে টেকেনি, তার প্রমাণ ২০১৯-এর নির্বাচনের ফলাফল। 

 

কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও প্রশ্ন উঠেছিল, দলের ভোট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। তবে অবশ্য সবকিছুর দায়ভার নিজের মাথায় নিয়ে ২৫ মে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাও দিতে চেয়েছিলেন রাহুল। এমতাবস্থায়, ঠিক কী কারণে বিজেপির সঙ্গে এমন ব্যবধানে হার হল সেই নিয়ে বিস্তর আলাপ-আলোচনাও করা হবে বলে জানানো হয় দলের তরফ থেকে।  

আরও পড়ুন- সৌজন্যের রাজনীতিতে আজও তাঁরা অবিচল, শপথ গ্রহণে থাকবেন সোনিয়া, রাহুল

আরও পড়ুন- অটল স্মরণ, শহিদ তর্পণ, মোদী শুরু করলেন নতুন দিন

এরই মাঝে দলের মুখপাত্র রনদীপ সিং সূরজেবালা আজ টুইট করে লেখেন, আগামী এক মাস দলের কোনও মুখপাত্র দেশের কোনও টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনাসভায় অংশ নেবেন না। কারণ এই এক মাস কংগ্রেস কোনও টিভি চ্যানেলে নিজেদের মুখপত্র পাঠাবে না। আপাতত নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি আলোচনা হবে দলের অন্দরে। প্রকশ্যে কোনও গণমাধ্যমের আলোচনাচক্রে অংশ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন রনদীপ সিং সূরজেবালা।