সংক্ষিপ্ত
হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের জয় বড় সাফল্য দেখছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই রাজ্যে দলের কোনও মুখ ছাড়াই নির্বাচনে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। ৬৮ আসনের মধ্যে এখনও কংগ্রেসের দখলে ৩৯ টি আসন। বিজেপির দখলে ২৬টি আসন। নির্দল প্রার্থীরা জয় পেয়েছে তিনটি আসনে। হিমাচল প্রদেশের জয়কে একটি বড় জয় হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন হিমাচলের জয় আগামী বছর যেসব রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে সেইসব রাজ্যগুলিতে প্রভাব ফেলবে। হিমাচলের জনগণ কংগ্রেসকে আবারও ক্ষমতায় পৌঁছে দিয়েছে বলেও তিনি রাজ্যের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন কংগ্রেসের প্রথম লক্ষ্যই হবে রাজ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। জনগণের সহযোগিতা করা। আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, 'আমার নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেসের জয়ে আমি আনন্দিত। আমি আমার রাজ্যের জনগণকে, রাজ্যের ভোটারদের ধন্যবাদ জানাই।' তিনি বলেছেন যারা কংগ্রেসকে জয়ী করেছে তাদের প্রদ্ঢা আর পরিপূর্ণতা পাবেন বলেও জানিয়েছেন।
হিমালচল প্রদেশ নির্বাচনের সময় কংগ্রেস কোনও মুখ সামনে রেখে নির্বাচনে লড়াই করেনি। তাই কংগ্রেসের জয়ের পর স্বভাবই প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে কে হবে পাহাড়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। হিমাচলপ্রদেশে দলের এই জয়ে কংগ্রেস যে খুশি তা জানিয়েছেন দলের জয়ী নেতা সুধীর শর্মা। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস অবশ্যই হিমাচল প্রদেশে সরকার গঠন করবে। পাশাপাশি তিনি বলেন দলের নেতা নির্বাচন করবে কংগ্রেসের হাইকমান্ড। তিনি আরও বলেন হাইকমান্ড দলের রাজ্যের নেতা কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার পরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষমা করবে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর সুধীর শর্মা এখনও পর্যন্ত এই পাহাড়ী রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। তিনি ধরমশালা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাকেশ চৌধুরীকে হারিয়েছেন ৩ হাজার ২৮৫ ভোটে। ভোটে জিতে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তিনি জনগণের প্রত্যাশা পুরণে চেষ্টা করবেন। সুধীর শর্মা এআইসিসির সেক্রেটারি। তিনি বলেন দলের প্রথম লক্ষ্যই হল হিমাচল প্রদেশের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা। তিনি বলেন, আবাসন, নগরউন্নয়ন জোর দিয়ে আর দ্রুত প্রকল্প রূপায়নই হবে কংগ্রেসের প্রথম লক্ষ্য। তিনি বারের বিধায়ক তিনি।
অন্যদিকে কংগ্রেসের জয়ে রীতিমত আশাবাদী অপর কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। তিনি হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে একাধিক প্রচার মিছিল করেছিলেন। তবে কংগ্রেস তাঁকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি বলেও ভোটের আগে আক্ষেপ করেন। তিনি তিনি অবশ্য G23 গ্রুপের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রসের প্রচার ও ঐক্যবদ্ধ লড়াই শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে হিমাচল প্রদেশ পুনরায় দখল করতে শক্তি যুগিয়েছিল বলেও দাবি করেন আনন্দ শর্মা। তবে হিমাচলের নির্বাচনে রাহুল গান্ধী তেমনভাবে ছিলেন না। ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ
সংসদে উত্তাপ বাড়বে শীতকালীন অধিবেশনে, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে আলোচনার দাবি সর্বদলীয় বৈঠকে
মোদীকে নিয়ে টুইট করার গুজরাট পুলিশের কোপে সকেত গোখলে, রাতদুপুরেই গ্রেফতার তৃণমূল মুখপাত্র