সংক্ষিপ্ত
জয়দেব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিও ভাসকুলার সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চের স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে করোনাটিকর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরেও তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়নি।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে অন্যতম হায়তিয়ার হল টিকা বা ভ্যাকসিন (Vaccine)। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বজড়ে করোনা টিকা কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি দেশে টিকাকর্মসূচি প্রায় শেষের দিকে। তবে অনেক দেশেই বুস্টার ডোজের (Buster Dose) দাবি উঠেছে। সেই দাবিকে সরব হয়েছে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরাও। একটি মাত্র বুস্টার ডোজেই করোনা জয় করা যাবে বলে দাবি তাঁদের। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণা রিপোর্ট বুস্টার ডোজের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কারণ নতুন প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পর মানুষের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা ৬ মাস পরেও কার্যকরী থাকে।
জয়দেব ইনস্টিটিউট অব কার্ডিও ভাসকুলার সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চের স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে করোনাটিকর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরেও তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়নি। তাই এই রিপোর্টের পরেই দ্বিতীয় ডোজের ৬ মাস পরে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
Viral Video: মাঝ আকাশে ড্রোনের সঙ্গে পাখির লড়াই, খাবারের অপেক্ষায় থাকা গ্রাহকই শ্যুট করল ভিডিও
Cyclonic Storm Gulab: ঘূর্ণিঝড় গুলাব মোকাবিলায় প্রস্তুত নৌবাহিনী, মেতায়েন জাহাজ আর বিমান
ভারতে SBIর মত আরও ৪-৫টি ব্যাঙ্কের প্রয়োজন, বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ এলিজা পদ্ধতিতে ২৫০ স্বাস্থ্য কর্মীর আইজিজি আলাদা করে অ্য়ান্টিবডি স্টরের জন্য রক্তপরীক্ষা করে। যাঁদের ওপর এই পরীক্ষা করা হয়েছিল তাঁরা প্রত্যেকেই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নিয়েছিলেন। ২০২১ এর এপ্রিল মাসেও তাঁদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে সেই সময়ও তাদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্র সঠিক ছিল। এপ্রিলে তাঁদের শরীরে অ্য়ান্টিবডির মাত্র ছিল ৮০ শতাংশ। তেমনই জানিয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান বিশেষদজ্ঞ ডক্টরেট সিএন মঞ্জুনাথ।
মঞ্জুনাথ আরও বলেছেন যখন একই গ্রুপের কর্মীদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পুনরাবৃত্তি করা হয়েছিল তখন তাদের শরীরে ৯৯ শতাংশ ইতিবাচন অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন এপ্রিলের পরীক্ষার সময় ২০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে ইতিবাচক ইমিউন রেসপন্স ছিল না। তাঁদের মধ্যে অ্যান্টিবডি লেভেলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদেরকে বিলম্বিত প্রতিক্রিয়াশীল বলা হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ রয়েছে, যে ২৫০ কর্মীর মধ্যে এই সমীক্ষাটি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। পরবর্তীকালে তাদের টিকা দেওয়া হয়েছিল। দুটি করে টিকা দেওয়ার পরেই সমীক্ষা করা হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত ১৯ জনের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা সবথেকে বেশি রয়েছে। তবে ২৫০ জনের মধ্যে মাত্র ১০ জনের শরীরে অ্যান্টিবটির মাত্র হ্রাস পেয়েছে বলেও রিপোর্টে জানান হয়েছে।