জনতা কারফিউ চলছে দেশ জুড়ে রাজপথে দেখা নেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবের দিল্লির ব্যস্ত রাস্তার দখল তাই কবুতর বাহিনীর হাতে মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভ ভরে উঠেছে কলকাকলিতে

মারণ করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে দিশেহারা এই বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল। ইতিমধ্যে ১২ হাজার মানুষ করোনার বলি হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না বড়বড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের প্রথম সারির সব দেশই করোনা সংক্রমণ আটকাতে গবেষণা চালাচ্ছে। কিন্তু নতুন এই ভাইরাস বারবার পরিবর্তন করে চলেছে নিজের চরিত্রের। এই অবস্থায় প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার করতে এখনও কিছুটা সময় সাগবে বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। তবে করোনা মানুষের কাছে অভিষাপ হলেও এদের একটি সদর্থক ভূমিকাও রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

করোনা সংক্রমণ আটকাতে সব দেশই নিজেদের নাগরিকদের বাড়ি থেকে প্রয়োজন ছাড়া না বেড়নোর পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে মানুষকে। বন্ধ রাখা হয়েছে বিশ্বের নামকরা সব সংস্থার অফিস। সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ করা হচ্ছে কল-কারখানাও। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। যার ফলে আগের তুলনায় এই কদিনে পৃথিবীতে পরিবেশ ও বায়ু দূষণ অনেকটাই কমেছে। 

এবার প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা বাতিল করল রেল, মহারাষ্ট্রে ১০০ ছুঁতে চলল আক্রান্তের সংখ্যা

আবার নতুন রেকর্ড গড়ল মৃত্যুপুরী ইতালি, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ নিল প্রায় ৮০০ জনের

করোনার জেরে লকডাউনের পথে পাকিস্তানও, বন্ধ হল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল

প্রতিবছর শয়ে শয়ে মানুষ পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। কিন্তু এই দূষণ রুখতে কখনই বিশ্বের বিভিন্ন তাবড় দেশগুলির সরকার তেমন ভাবে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিন্তু আজকের দিনে যখন করোনা মহামারির আকার ধারণ করেছে, তখন সরকার বাধ্য হয়েছে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল বন্ধ করতে। এই রোগ স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে, বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল ছাড়াও বিভিন্ন জনবহুল কর্মক্ষেত্র। যার ফলে কিছুটা হলেও পরিবেশ দূষণ আগের কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক সমিক্ষা করে দেখা গেছে, চীনে আগে যে পরিমাণে পরিবেশ দূষণ হত, তাঁর পরিমাণ এখন অনেক কমে গেছে।

ভারতে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ, সিনেমাহল, জিম, সুইমিংপুল, স্পা। যানবাহন চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ এসেছে। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রবিবার সকাল ৭টা থেকে থেকে রাত ৯টা জনতা কারফিউর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার ফলে এদিন গোটা দেশেই ছিল বনধের পরিস্থিতি। দিল্লির কনট প্লেসের মত ব্যস্ত রাস্তা আজকে ছিল একেবারে শুনশান। 

Scroll to load tweet…

অন্যদিন মানষের ভিড়ে এই পথে তেমন ভাবে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ পায়না কবুতর বাহিনী। আজ অবশ্য মেজাজটা একেবারে আলাদা। ফাঁকা রাজপথে নিজের মনের মত করে দিনটা কাটাল কপোত-কপোতীর দল।

Scroll to load tweet…

বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের ছবিটাও ছিল রাজধানীর মতই। ব্যস্ত মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের দখল ছিল আজ পায়রাদের হাতেই। 

Scroll to load tweet…

মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে প্রকৃতির সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে। পাখিদের থাকার জায়গা গাছ থেকে জঙ্গল সবেতেই নিজেদের দখল নিয়েছে। ক্রমেই কমে আসছে পাখিদের আবাসস্থল। মানুষের আধুনিকতায় একসময় হয়তো হারিয়ে যাবে তারা। কিন্তু করোনা ভাইরাস আজ অনেকটাই অসহায় করে দিয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণিটিকে। তাই মানুষের ভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই প্রকৃতীর মাঝে নিজেদের মত করে বেঁচে থাকার রসদ পেয়েছে পাখির দল।