সংক্ষিপ্ত
- হোলির সামগ্রীর ৯০ শতাংশ আসে চিন থেকে
- এবার মারণ করোনার প্রাদুর্ভাব চিনা ভূখণ্ড জুড়ে
- তার জেড়ে প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে
- চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে যোগান
মারণ করোনার হামলায় চিনের মূল ভূখণ্ডের জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। এদিকে সামনের সপ্তাহে এদেশে উদযাপিত হবে রঙের উৎসব হোলি। এবার হোলি উৎসবেও তাই প্রভাব পড়তে চলেছে করোনা ভাইরাসের।
পিচকেরি সহ হোলি খেলার সামগ্রীর ৯০ শতাংশই চিন থেকে আমদানি হয় এদেশে। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের হানায় চিনে শিল্প উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কমেছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্যবারের মত চিন থেকে হোলির সামগ্রী আমদানি করা যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পিচকেরির মত হোলি খেলার সামগ্রীর দাম এবার গতবারের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তাজমহলের শহরে এবার অধরা হোলির মজা, জারি থাকবে ১৪৪ ধারা
চিনে করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে গতবছর ডিসেম্বর মাসে। তার আগেই গত নভেম্বরে এখানকার বড়বড় ডিস্ট্রিবিউটাররা চিনে হোলির সামগ্রীর অর্ডার দিয়েছে। ফেল তাঁদের ক্ষতির সম্ভাবনা তেমন না থাকলেও ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মার খাবে বলেই আশঙ্কা থাকছে। এদিকে যোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় হোলির সামগ্রির দাম একলাফে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে ফের ঘরছাড়া, আরও একবার কনের মাকে নিয়ে পালালেন বরের বাবা
এদিকে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে অরগানিক রঙের চাহিদাও। বিশেষ করে মেট্রো শহরগুলিতে গতবারের তুলনায় এবার চাহিদা ২৩ শতাংশ বেশি বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে ভুয়ো বার্তায়। সম্প্রতি একটি বার্তায় দাবি করা হয়েছিল, করোনা আক্রান্ত চিন থেকে হোলির সামগ্রী কিনতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত সরকার। যদিও ভারত সরকারে পক্ষ থেকে এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি বলে পরে জানা যায়।