সংক্ষিপ্ত
- নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল
- আরও ১৪ জনের শরীরে নতুন স্ট্রেনের সন্ধান
- দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া ২০
- ২৭ ওড়িশার যাত্রীর কোনও সন্ধান নেই
ভারতে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্রিটেনের করোনা-স্ট্রেন। মঙ্গলবারই বিলেত ফেরত ৬ ব্যক্তি সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল,যাঁরা নতুন এই স্ট্রেনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রাত পোহাতে না পোহাতেই আরও ১৪ জনের দেহে মিলল সেই নমুনা। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ২০ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকালই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল যে ৬ জনের শরীরে নতুন করোনা স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে তাঁদের বিচ্ছিন্ন করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অধীনেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে নতুন স্ট্রেনের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভারতে সবথেকে বেশি নতুন স্ট্রেনে সংক্রমিত হয়েছে দিল্লিতে (৮জন)। ৭ জন আক্রান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু।
আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ওড়িশার ২৭ জন বিলেত ফেরত। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮১ জন যাত্রী ব্রিটেন থেকে ওড়িশায় ফিরেছেন। ১৫২ জনকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনও পর্যন্ত ২৭ বিলেত ফেরত যাত্রীর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। আর এই ২৭ জন যাত্রীই ওড়িশা সরকারের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে গত এক মাসে ব্রিটেন থেকে ফেরা ৩৩ হাজার যাত্রীকে সনাক্ত করা গেছে।
বিলেত ফেরত ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের সন্ধান, বছর শেষে আতঙ্ক দেশে ..
'প্রভুর আদেশই শিরোধার্য', রাজনৈতিক দল গঠন করবেন না বলে ঘোষণা রজনীকান্তের ...
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কথায় ব্রিটেনে সন্ধান পাওয়া নতুন এই করোনাভাইরাসের স্ট্রেন ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। তাই এই নতুন করোনা স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে গোটা বিশ্বেই। নতুন স্ট্রেনের মাধ্যমে সংক্রমণ রুখতে ব্রিটেনের সঙ্গে উড়ান যোগাযোগ ছিন্ন করেছে ভারতসহ ইউরোপের একাধিক দেশ। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হল না। তবে নতুন স্ট্রেনের জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের জন্য বিকাশ করা ভ্যাক্সিনই রুখে দেবে নতুন স্ট্রেনের সংক্রমণ।