সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসে টিকা করণ নিয়ে ঘোষণা 
  • ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী 
  • খতিয়ে দেখেন দিল্লির ড্রাইরান পরিচালনা 
  • প্রথম দফায় টিকা পাবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা 
     

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ভারতে পরপর দুটি করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন ছাড়পত্র পেয়েছে। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, সারা দেশেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হবে প্রায় ১ কোটি স্বাস্থ্য কর্মীদের। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ২ কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মীদেরও করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হবে। জুলাই মাস পর্যন্ত দেশের প্রায় ২৭ কোটি মানুষকে করোনা টিকা প্রদান করা হবে। কীভাবে টিকা প্রদান করা হবে তা নিয়ে পরবর্তীকালে বিস্তারিত জানাবেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী। প্রথম দফায় দেশের সকল নাগরিকদের বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হবে। তারজন্য ইতিমধ্যেই একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও টিকা সংরক্ষণ বিতরণের জন্য কোল্ড চেনের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, গোটা দেশেই করোনাভাইরাসের টিকার ড্রাই রান চলছে। আর সেই কারণে কোনও রকম গুজবে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন।  একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ভ্যাক্সিনের সুরক্ষা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রাধিকারের মধ্যেই পড়ে। পোলিং টিকাদানের সঙ্গে একাধিক গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে প্রথম দফায় টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। করোনা টিকার ক্ষেত্রে তা যেন না হয় সেদিকেই সতর্ক থাকতে হবে বলেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

৬ শহরে আধুনিক প্রযুক্তির ১ হাজার হাজার বাড়ি, 'বাতিঘর' প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর .

Happy New Year 2021 বললেন দুজনে, কিন্তু নিজেদের অবস্থান বজায় রাখলেন মোদী-রাহুল ...

আগেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন প্রথম দফায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই টিকা প্রদান করা হবে। আর সেই তালিকায় স্বাস্থ্য কর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী ছাড়াও রয়েছেন দেশের বয়স্কো ও ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকরা। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী দিল্লিতে তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, যেখানে করোনাভাইরাসের টিকাকরণের ড্রাইরান চলছে। দিল্লির সরকারি হাসপাতাল গুরুতেগ বাহাদুর হাসপাতালে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে চারটি রাজ্যে ড্রাই রান করা হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সবকটি রাজ্য ও কন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ড্রাইরান পরিচালনা করা হয়। এই ড্রাই রান থেকে পাওয়া তথ্যেই ভিত্তিতেই গোটা দেশে টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।