আইআরসিটিসি হোটেল দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং ছেসে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত চার্জ গঠন করেছে। 

দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সোমবার প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব,রাবড়ি দেবী , তেজস্বী যাদব এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইআরসিটিসি হোটেল দুর্নীতি মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য ধারায় চার্জ গঠন করেছে। বিহারের ভোট নভেম্বর মাসে। তার আরে এই পরিস্থিতি যাবদ পরিবার ও আরজেটি দলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলবে। লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাঁচি এবং পুরীর আইআরসিটিসি দুটি হোটেলের টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তারই প্রেক্ষিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের নির্দেশ

সিবিআই-এর বিশেষ আদালত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু যাদব, তেজস্বী যাদব, রাবড়ি দেবী ও অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন। তাঁরা সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। আদালত প্রতারণা, ষড়যন্ত্র এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করেছে। সমস্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। খোলা আদালতে রায় ঘোষণা করা হয় এবং আদালত একটি বিস্তারিত নির্দেশ আপলোড করবে। আদালত বলেছে যে ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের জন্য যথেষ্ট তথ্য় প্রমাণ রয়েছে।

যাদব পরিবারের মত

লালু প্রসাদ যাদব নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি গোটা বিষয়টির মোকাবিলা করবেন। বাবড়ি দেবী এবং তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আইপিসির দুটি ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে তাঁরা গোটা বিষয়টির মোকাবিলা করবেন।

২৪ সেপ্টেম্বর, আদালত সমস্ত অভিযুক্তকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

তদন্তকারী সংস্থা এবং অভিযুক্তদের পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২৯ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল।

১ মার্চ, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, রাবড়ি দেবী, তেজস্বী যাদব ও প্রাক্তন প্রেমচাঁদ গুপ্তা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের বিষয়ে তাদের সওয়াল শেষ করেছিল। এই মামলায় ১৪ জন অভিযুক্ত রয়েছে।

সিবিআই-এর বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ) যুক্তি দিয়েছিলেন যে দুটি আইআরসিটিসি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি বরাদ্দে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি এবং ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই মামলাটি ২০০২-২০০৯ সালের মধ্যে লালু প্রসাদযাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখনকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।

অভিযোগ করা হয়েছে যে, দুটি আইআরসিটিসি হোটেল, র রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি দুটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই অভিযোগ করেছে যে এই চুক্তির বিনিময়ে,লালু সেই সময় সংস্থাদুটির থেকে প্রায় ৩ একর জমি পেয়েছিলেন। যা অবৈধ।

৭ জুলাই, ২০১৭-এ, সিবিআই লালুর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করে। সংস্থাটি পাটনা, নয়া দিল্লি, রাঁচি এবং গুরুগ্রাম-এ লালু এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত ১২টি জায়গায় অভিযান চালায়। যদিও লালু বলেছেন, তদন্তকারীদের হাতে কোনও তথ্য নেই। তাদের হেনস্থা করার জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে।