সংক্ষিপ্ত
- আত্মহত্যা করলেন করোনা রোগী
- হাসপাতালের ৪ তলা থেকে ঝাঁপ
- পজিটিভ হওয়ার খবর আসতেই চরম সিদ্ধান্ত
- কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে যেমন ঠিক কথা কিন্তু এর সঙ্গে এটাও সমান সত্যি, মারণ ভাইরাসকে জয় করে সুস্থ হয়ে ফিরে আসছেন বেশিরভাগ মানুষই। এখনও পর্যন্ত এদেশে কোভিড ১৯ রোগকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন ৬,১৮৫ জন। তবে এসব পরিসংখ্যান কিছুই কাজে দিল না বেঙ্গালুরুর এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির। সংক্রমণের শিকার হয়েছেন জানতে পেরেই আতঙ্কে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল চত্বরেই আত্মহত্যা করলেন বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি।
তিনি করনো সংক্রমণের শিকার হয়েছেন এটা জানার পরেই সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। তিনি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসারত ছিলেন। হাসপাতালের চারতলা থেকে নিচে ঝাঁপ দেন।
করোনা এবার প্রাণ কাড়ল কংগ্রেস নেতার, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছুঁতে চলল
যখন-তখন শীতের অনুভূতি থেকে মাথাব্যথা, জেনে নিন করোনা আক্রান্তের আরও নতুন কিছু উপসর্গ
করোনা নিয়ে আশার আলো দেখল দেশবাসী, ৩ সপ্তাহের মধ্যে ভারতে শুরু হচ্ছে ভ্যাকসিনের উৎপাদন
জানা যাচ্ছে আত্মঘাতী করোনা রোগী সম্প্রতি ৪৫ বছরের এক মহিলার সংস্পর্শে এসেছিসেন। গত শুক্রবার ওই মহিলার কোভিড ১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর রবিবার বেঙ্গালুরুর রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব চেস্ট ডিজিজে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই মহিলা বেঙ্গালুরুর হাম্পিনগরার বাসিন্দা ছিলেন। মহিলার থেকে ওই ব্যক্তি ছাড়াও আরও ৫ জনের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায় বলে খবর।
এদিকে ৫০ বছরের আত্মঘাতী ওই ব্যক্তি হাইপারটেনশনের রোগী ছিলেন, পাশাপাশি কিডনির সমস্যা থাকায় তাঁর ডায়ালাইসিস চলছিল। সেই কারণেই গত ২৪ তারিখ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তাঁর ফের ডায়ালাইসিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানতে পেরেই আত্মহত্যা করেন তিনি।
এই ঘটনায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কী করে ওই ব্যক্তি আইসোলেশন ওয়ার্ডের বাইরে বের হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তপক্ষের দাবি, লিফট বন্ধ থাকায় ফায়ার এক্সিট খোলা ছিল। আর সেই পথ ব্যবহার করেই পালান ওই ব্যক্তি।