১ মার্চ থেকে অর্থের বিনিময়ে মিলবে করোনার টিকাবেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও টিকা পাবেন ৬০-ঊর্ধ্বরাকত টাকার বিনিময়ে মিলবে এই ভ্যাকসিনকী কী নথি লাগবে টিকা নিতে গেলে
১ মার্চ থেকে ৬০-ঊর্ধ্ব বয়সী এবং কোমরবিডিটি থাকা ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও করোনার টিকা পাবেন। সরকারি হাসপাতালে এরপরও বিনামূল্যেই টিকা পাওয়া গেলেও, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যারসিন নিতে গেলে টাকা দিতে হবে। এতদিন, সেই টিকার প্রতি ডোজের দাম কত হবে, তা জানায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে শনিবার সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ২৫০ টাকা করে।
সরকারি সূত্রের খবর এর মধ্যে ভ্যাকসিনের দাম ১৫০ টাকা এবং আরও ১০০ টাকা নেওয়া হবে সার্ভিস চার্জ হিসাবে। তারমধ্যে ৫০ টাকা ভ্যাকসিন দেওয়ার খরচ, আর বাকি ৫০ টাকা সিরিঞ্জ এবং অন্যান্য সরঞ্জামের দাম। এর থেকে বেশি টাকা কোনও পরিস্থিতিতেই নেওয়া যাবে না। পরবর্তী আদেশ না জারি হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই কার্যকর থাকবে, এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।

টিকা নেওয়ার জন্য দেখাতে হবে আধার কার্ড অথবা সচিত্র নির্বাচনী পরিচয় পত্র। ৪৫ বছর থেকে ৫৯ বছর বয়সীদেরক্ষেত্রে তার কো-মরবিডিটি অর্থাৎ অন্য যে অসুস্থতা রয়েছে, তার শংসাপত্র দেখাতে হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের কর্মস্থানের শংসাপত্র বা সরকারি পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।

রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা আছে এমন সরকারি কেন্দ্রগুলিতেই শুধুমাত্র টিকাদান কেন্দ্র তৈরি করা যাবে। বেসরকারী স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিতে টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। এছাড়া কেন্দ্রী. সরকারের জারি করা নির্দেশিকা মেনে বেসিক কোল্ড চেইনের সরঞ্জামাদি, ভ্যাকসিনেটর এবং কর্মীদের নিজস্ব দল, এবং ব্যবস্থাপনার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা আচে কি না, তাও যাচাই করতে হবে।
