সংক্ষিপ্ত

দহানু বিধানসভা কেন্দ্রতে, বছরের পর বছর ধরে আদিবাসীদের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন তিনি। 

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সিপিএম-এর একমাত্র বিধায়ক হিসেবে বিনোদ ভিভা নিকোলে নির্বাচিত হয়েছেন। তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসন দহানু থেকে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য জয়লাভ করলেন বিনোদ। গত ২০১৯ সালে ৪২৩১ ভোটে জয়ী হলেও এবার তার ভোটের ব্যবধান প্রায় ১০৪৭০২ ভোটে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

মহারাষ্ট্র নির্বাচনে সবচেয়ে দরিদ্র প্রার্থী ছিলেন বিনোদ। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর বাড়ি কিংবা গাড়ি নেই। কৃষক ও আদিবাসীদের অধিকারের জন্য তিনি সবসময় তাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন বিনোদ। আর বিনোদের সেই কথা বিশ্বাস করে জনগণ তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। 

তাঁর কথায়, “এখানকার অনেকেই সিপিএম প্রার্থী হিসেবে আমাকে ভোট দিয়েছেন বলে আমি জানি। দলের মতাদর্শের সঙ্গে একমত নন, এমন লোকেরাও আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি একজন ব্যক্তি হিসেবে গত পাঁচ বছর ধরে, সবার জন্য উপলব্ধ ছিলাম। বিদ্যুৎ, জল, রেশন, স্বাস্থ্যসেবা, স্কুল ইত্যাদি মৌলিক সুযোগ-সুবিধার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি' অনবরত।"

দহানুর গ্রামগুলিতে ছোট ছোট জনসভার মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছিলেন এই বাম প্রার্থী। সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত এবং অল ইন্ডিয়া কিষান সভার (AIKS) সভাপতি অশোক ধাওয়ালেও প্রচারে এসেছিলেন। 

দহানুতে, AIKS এবং সংগঠনকে একেবারে নিচুস্তর থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি। যা ঐ কেন্দ্রে সিপিএম-এর ভিত্তিকে আরও মজবুত করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ওয়ার্লি আদিবাসী বিদ্রোহে AIKS-এর নেতা শ্যামরাও পারুলেকর এবং গোদাবরী পারুলেকরের ভূমিকা বামপন্থীদের ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করেছিল সেইসময়। 

তবে এই কেন্দ্রে জয়ের পিছনে আরও একটি বড় কারণ হল, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সিপিএম-এর অনেক বেশি সমর্থন রয়েছে। 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।