সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্টের সর্বোচ্চ বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে সতর্ক করেছেন কেন্দ্র সরকারি পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। 

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী, বিবাহিত নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য তাঁর স্বামী তাঁর ওপর শক্তি প্রয়োগ করলেও সেই শারীরিক সম্পর্ক ‘ধর্ষণ’ বলে গণ্য হয় না। ফলে, সেই শক্তি প্রয়োগের অপরাধটি ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ (Marital Rape) বলে বিবেচিত হয় না এবং অপরাধী স্বামী আইনের নিয়মে কোনও শাস্তি পান না। এই নিয়মের বিরোধিতা করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই বিষয়টি সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করলে তা আদতে সমাজের ওপরেই খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্র সরকারের পক্ষের আইনজীবী। 

'বৈবাহিক ধর্ষণ' সম্পর্কীয় মামলাগুলি কবে শোনা হবে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) সেই বিষয়ে দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য কিছুটা সময়ে চেয়েছিলেন আইনজীবী করুণা নন্দী। তখনই কেন্দ্র সরকারি পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘সমাজের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে।’

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, মেডিক্যাল টার্মিনেশন ও প্রেগন্যান্সি আইন অনুযায়ী, কোনও পুরুষ যদি নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং এর ফলে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন, তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করতে পারেন সেই স্ত্রী। সেই ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আসা গেলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আসা যাবে না কেন, সেই প্রসঙ্গেই দীর্ঘ আলোচনা করতে চেয়েছেন আইনজীবী করুণা নন্দী। তিনি আরও ২ দিন সময় প্রার্থনা করলে বিজেপি সরকারের পক্ষের আইনজীবী তুষার মেহতা এই দীর্ঘ আলোচনার খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সর্বোচ্চ আদালতকে (Supreme Court) সতর্ক করেছেন।