সংক্ষিপ্ত
গত সপ্তাহে ছত্তিশগড়ে ভয়াবহ মাও হামলার মুখে পড়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী
২২ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল
মাওবাদীদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন এক জওয়ান
বৃহস্পতিববার তাঁকে মুক্তি দেওয়া হল
গত সপ্তাহে ছত্তিশগড়ের সুকমায় ভয়াবহ মাও হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ২২ জন ওয়ান। নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সিআরপিএফ কমান্ডো রাকেশ্বর সিং মানহাস। পরে জানা গিয়েছিল মাওবাদীদের হাতে বন্দি হয়েছেন তিনি। পাঁচ দিন পর, বৃহস্পতিবার, অবশেষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, বলে জানানো হয়েছে নিররাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
বস্তার পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সমাজ সেবক ধরমপাল সাইনি এবং গন্ডোয়ানা সমাজের প্রধান গেলাম বোরায়া-র উপস্থিতিতে এদিন তাঁকে মুক্তি দেয় মাওবাদীরা। ধরমপাল সাইনি এবং গেলাম বোরায়া গত কয়েকদিন ধরেই মানহাসের মুক্তির বিষয়ে মাওবাদী এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। এদিন, তাঁদের নেতৃত্বে মানহাস-কে ফিরিয়ে আনতে যান ১১ সদস্যের একটি দলও। সেই দলে ছিলেন, সাতজন স্থানীয় সাংবাদিকও।
মুক্তি পেলেন মাওবাদীদের হাতে বন্দি কোবরা জওয়ান
পুলিশের ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, গভীর জঙ্গলে মুক্তির পর মানহাসকে তারেমের একটি শিবিরে নিয়ে আসা হয়। ওই এলাকাতেই গত সপ্তাহে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছিল। তারেমের শিবিররে ওই জওয়ানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সিআরপিএফ সূত্রে খবর, তাঁর শরীরে বিশেষ কোনও আঘাত নেই। তাঁর স্বাস্থ্যও ভালই রয়েছে। এরপর তাঁকে ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন - বঙ্গের কোন কোন কেন্দ্রে সহজে জিতবে বিজেপি, কোথায় লড়াই কঠিন - কী বলছে দলের গোপন বিশ্লেষণ
আরও পড়ুন - বিজেপি এলে CAA হবেই, কিন্তু NRC-র কথা তুলছে কেন তৃণমূল - গেরুয়া শিবিরের কী পরিকল্পনা
আরও পড়ুন - কৃষি না শিল্প - একদশক পর নির্বাচনে ফিরে এল পুরোনো প্রশ্ন, কী বলছে সিঙ্গুর
অবশেষে নিশ্চিন্ত মানহাস পরিবার
"
সিআরপিএফ কমান্ডো রাকেশ্বর সিং মানহাসকে যে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দেবে মাওবাদীরা, সোমবারই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। এক গোপন নম্বর থেকে ফোন করে ওইদিনই ওই কোবরা কমান্ডো যে মাওবাদীদের হাতেই বন্দি, তা জানানো হয়েছিল। দু-তিন দিনের মধ্যেই তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। দু'দিন পরই এক স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে মানহাসের একটি ছবিও পাঠানো হয়েছিল। তবে ওই ছবিটি তাঁর পুরোনো ছবি, বলে জানিয়েছিল জম্মুর বাসিন্দা ওই জওয়ানের পরিবার। দ্রুত তাঁর মুক্তি ও মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তাঁর পরিবার।