সংক্ষিপ্ত

 

  • পঞ্জাবকে লকডাউন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • কিন্তু লকডাউন করেও ফল মিলছে না
  • লকডাউন উপেক্ষা করেই দোকান, বাজারে ভিড়
  • এবার পরিস্থিতি সামলাতে কারফিউ জারি করা হল 

করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। ভারতেও ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল আকার নিচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সোমবার করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ রাজ্য সরকারই লকডাউনের পথে এগিয়েছে। কিন্তু তাতেও ফল না মেলায় এবার রাজ্যজুড়ে কারফিউ জারি করল পঞ্জাব সরকার।

ভারত বর্তমানে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে সাধারণ মানুষকে ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়ই। জনসমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাও পরিস্থিতি বদলায়নি পঞ্জাবে। এমনকী গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন ঘোষণা করেছে পঞ্জাব সরকার। কিন্তু তা সত্বেও ভিড় চোখে পড়ে দোকান-বাজারে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে তাই কারফিউয়ের পথেই এগোতে হয় মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-কে। 

করোনা আতঙ্কে লকডাউন রাজধানী, সুপ্রিম কোর্টে চলছে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি

কলকাতায় আর মিলবে না ওলা-উবার, পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত ক্যাব সংস্থা দু'টির

লকডাউন নিয়ে রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ , 'নিজেকে বাঁচান', ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী

পঞ্জাবে ইতমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। করোনা সংক্রমণে এক বৃদ্ধের মৃত্যুও হয়েছে। এই অবস্থায় গোষ্ঠী সংক্রমণ কীভাবে রোধ করা যায়, তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধানকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেখানেই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কারফিউ চলাকালীন সমস্ত জরুরি পরিষেবা মিললেও বাকি কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরতে হলে, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আগে অনুমতি নিতে হবে। তার পরেই নির্ধারিত সময়ের জন্য বাইরে যাওয়ার অনুমতি মিলতে পারে। ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত জেলায় এই মর্মে নির্দেশ পাঠান হয়েছে।