সংক্ষিপ্ত

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন তালিবানদের ক্ষমতা দখলের সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীর দখলের স্বপ্ন যেন কেউ না দেখতে থাকে। ভারত নিজের শত্রুদের উচিত জবাব দিতে জানে। 

ভারত থেকে দূরে থাকলে, নিরাপদে থাকবে পাকিস্তান (Pakistan)। কার্যত এই ভাষাতেই রবিবার ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Defence Minister Rajnath Singh)। এদিন তিনি বলেন তালিবানদের ক্ষমতা দখলের (Taliban's takeover of Afghanistan) সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীর দখলের স্বপ্ন যেন কেউ না দেখতে থাকে। ভারত নিজের শত্রুদের উচিত জবাব দিতে জানে। 

রবিবার রাজনাথ বলেন প্রত্যেক ভারতীয় এটা বিশ্বাস করে যে কেন্দ্রের মোদী সরকার ভারতের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সমর্থ। মোদী সরকারের ওপর এই বিশ্বাস ভারতের নাগরিকদের রয়েছে। ভারত তার শত্রুদের মোকাবিলা করতে সবসময় প্রস্তুত। দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষার সঙ্গে কোনওদিনও কোনও আপোষ করা হবে না। 

তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেন যে দুটি যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর আমাদের প্রতিবেশী দেশ (পাকিস্তান) প্রক্সি যুদ্ধের আশ্রয় নিতে শুরু করেছে এবং সন্ত্রাস তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান ভারতের জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে শুরু করেছে। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, এই ধরণের আচরণ নয়াদিল্লি মেনে নেবে না। 

তিনি আরও বলেন আজ যদি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সফল হয় তবে তা হয়েছে ভারতের শক্তির কারণে। ২০১৬ সালে, নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমাগত আঘাত ভারতকে শক্তিশালী করে তুলেছিল। কারণ সীমান্তে আরও জোর বাড়ানো হয়েছিল। ভারত নিজের শক্তি ও ক্ষমতা ২০১৯ সালের বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে। 

শুক্রবারের নমাজে এবার থেকে তালিবানদের গুরুত্ব বোঝাবেন ইমামরা, জারি ফতোয়া

মুসলিম নয়, শুধু হিন্দুদের আশ্রয় দিচ্ছে ভারত, দিল্লি থেকে বিতাড়িত হয়ে বিস্ফোরক আফগান সাংসদ

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন ভারতীয় সেনা যে কোনও দিন, যে কোনও সময়ে হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে শত্রুর ঘরে ঢুকে মেরে আসতেও দ্বিধা বোধ করবে না নয়াদিল্লি। এদিন তাঁর কথায় আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ ওঠে। তিনি বলেন বারত কঠোরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে আফগানিস্তানের টালনমাটাল পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে সম্পর্ক বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ ভারতের কাছে।