দিল্লির বায়ু দূষণে ক্রমশ বিপর্যস্ত জনজীবন, হাইকোর্টে বুধবার দূষণ মামলার শুনানি
Delhi AQI Update: দিন যত যাচ্ছে আর শীত যত বাড়ছে ততই বাতাসের গুণমান খারাপ হচ্ছে রাজধানী দিল্লির। পরিস্থিতি কোন দিকে? মামলা গড়িয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট পর্যন্ত। রায় দান নিয়ে রইল বিরাট আপডেট। জানুন বিশদে। সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি দেখুন।।

দূষণে জেরবার দিল্লি
লাগাতার বায়ু দূষণে জেরবার দিল্লির জনজীবন। বুধবার সকালে দিল্লির এয়ার কোয়ালিটির মান ছিলো ৩৭৫। যা খুবই খারাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে শুধু রাজধানী দিল্লিই নয়। দেশের সমস্ত বড় বড় মেট্রো শহরে বাড়ছে বায়ু দূষণের মাত্রা। যার কারণে বাড়ছে ফুসফুসের রোগ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র।
বায়ু দূষণে ফুসফুসে সমস্য়া
মঙ্গলবার দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই বায়ু দূষণ নিয়ে জানিয়েছে যে, শুধুমাত্র রাজধানী দিল্লিতে বায়ুদূষণের কারণে ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ মানুষের ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদনও জানিয়েছেন তারা। বুধবার সেই মামলার শুনানি হাইকোর্টে।
দিল্লির বাতাসের গুণমান নিয়ে কী অভিযোগ?
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন যে, ক্রমশ নামছে দিল্লির বাতাসের গুণমান। এমনকি এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স সঙ্কটজনক পরিস্থিতি অতিক্রম করার পর GRAP-3 জারি করা হয়েছিল। তবে শুধু চলতি বছরই নয় গত কয়েক বছর ধরে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দিল্লির বাতাসের গুণমান। বিশেষ করে শীতকালে। যার জেরে সমস্যায় পড়ছে হাজার হাজার মানুষ।
আরও খারাপ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স
সূত্রের খবর, পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা এই পিটিশনে দিল্লি সরকার, দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (DPCC), কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (CPCC), কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (CAQM), দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (MCD) এবং দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, দূষণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম কেবল খাতায়-কলমেই রেখেছে সরকার। কিন্তু তা বাস্তবে মেনে চলা হয় না বলেই অভিযোগ উঠেছে বিস্তর। ফলে দিন যত যাচ্ছে ততই দুস্কর হয়ে উঠছে দিল্লির বাতাসে শ্বাস নেওয়া।
দূষণ রোধে বাড়ানো হবে নজরদারি
তবে এই দূষণ কেবল স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করে না। এটি আর্থ-সামাজিক, মানসিক পরিস্থিতিকেও খারাপ করে দেয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্বারা প্রভাবিত হয়। বর্তমানে ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত ২৩০টিরও বেশি সাইটে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। এ ছাড়াও, ২০২৩ সালের অগাস্ট মাস থেকে ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন পোর্টালের (IHIP) মাধ্যমে ডিজিটাল নজরদারিও চালু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

