সংক্ষিপ্ত
অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৭ দিনের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। এদিন দিল্লির রাউস অ্যাভিবিউ আদালতে পেশ করা হয়েছিল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৭ দিনের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। এদিন দিল্লির রাউস অ্যাভিবিউ আদালতে পেশ করা হয়েছিল। ইডির তরফ থেকে ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তে আম আদমি পার্টির প্রধানকে ৭ দিনের অর্থাৎ ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। রাতে তাঁকে রাখা হয়েছিল ইডির দফতরে। নিয়ম অনুযায়ী কেরজিওয়ালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে পেশ করা হয়েছিল। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার এজলাসে কেজরিওয়ালকে পেশ করা হয়েছিল। ইডি কেজরিওয়ালতে মদ নীতি মামলায় মূল যড়যন্ত্রকারী চিহ্নিত করে সওয়াল করেছিল। পাশাপাশি ১০ দিনের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তে ইডিকে সাত দিনের হেফাজত দেওয়া হয়েছিল। ইডির হয়ে এদিন সওয়াল করেন এসভি রাজু।
ইডির দাবি , অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনের নির্দিষ্ট ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে কেজরিওয়ালতে। পাশাপাশি বলা হয় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ইডির দাবি ব্যবসায়ীদের থেকে ঘুষ নেওয়ার জন্যই দিল্লির আবগারি নীতিতে বদল করা হয়েছিল। এই দুর্নীতির টাকা ইডি গোয়া ও পঞ্জাবের নির্বাচনে কাজে লগিয়েছিল বলেও দাবি করে।
কী এই আবগারি কেলেঙ্কারি
বিআরএস নেত্রী কে কবিতা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আপ নেতা মণীষ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিং-কে মদ নীতির সঙ্গে জড়িয়ে মামলা তৈরি করেছে। এদের এই কেলেঙ্কারিতে ষড়যন্ত্রকারী বলে চিহ্নিত করেছিল। মদ নীতি নিয়ে ইডি বলেছিল, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দিল্লি আর দক্ষিণ ভারত। ইডি দক্ষিণের লবি বলেছিল। আরও বলেছিল, দক্ষিণ লবি আপকে ১০০ কোটি টাকা দেবে। কয়েকজন অভিযুত্ত ও সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী কেজরিওয়ালের নাম উঠেছিল। তাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, মদ নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বিজয় নায়ার অধিকাংশ সময়ই কেজরিওয়ালের অফিসে কাটাতেন। কেজরিওয়ালের সঙ্গেও মদ নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন। নায়ারই ইন্দোস্পিরিট মালিক সমীর মহেন্দ্রুকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়েছিলেন। এর আগে এই কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছে মণিষ সিসৌদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনকে।