সংক্ষিপ্ত

রিকুইজিশন স্লিপ এবং পরিচয় প্রমাণ ছাড়াই ব্যাঙ্কনোট বিনিময়ের জন্য আরবিআই যে অনুমতি দিয়েছিল, সেই অনুমতিকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ এবং ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন আবেদনকারী বিজেপি নেতা।

চলতি বছরে মে মাসের ১৯ তারিখ ২ হাজার টাকার নোট ‘বাতিল’ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক RBI। এই বাতিল নোটগুলি ব্যাঙ্ক থেকে বদল করে নেওয়ার জন্য বিশেষ নিয়ম জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যে, কোনও রিকুইজিশন স্লিপ এবং পরিচয়ের প্রমাণপত্র ছাড়াই যে কোনও ব্যক্তি ভারতের সমস্ত ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে ২ হাজার টাকার নোট বদল করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তটির বিরোধিতা করে RBI-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী তথা ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। সোমবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি আদালত।

রিকুইজিশন স্লিপ এবং পরিচয় প্রমাণ ছাড়াই ব্যাঙ্কনোট বদল করার জন্য আরবিআই যে অনুমতি দিয়েছিল, সেই অনুমতিকে ‘স্বেচ্ছাচারী’ এবং ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছিলেন আবেদনকারী বিজেপি নেতা। তাঁর দাবি ছিল যে, এটি সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ (আইনের সামনে সমতা এবং আইনের সমান সুরক্ষা) ক্ষুণ্ণ করছে। কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রামোনিয়াম প্রসাদের বেঞ্চ থেকে ২৯ মে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, অশ্বিনী উপাধ্যায়ের এই আর্জি খারিজ করা হল।

অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছিল যে, এই ধরনের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা হয়তো কোনও ব্যক্তির লকারে গচ্ছিত ছিল, অথবা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী, সন্ত্রাসবাদী, মাওবাদী, মাদক চোরাচালানকারী, খনি মাফিয়া এবং দুর্নীতিবাজরা নিজেদের কাছে মজুত করে রেখে দিয়েছিল।’

গত মঙ্গলবার আরবিআই এই পিটিশনের বিরোধিতা করে বলেছিল যে, ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহার করাটি ‘বিমুদ্রীকরণ’ নয়, বরং এটি একটি বিধিবদ্ধ অনুশীলন। সিনিয়র আইনজীবী পরাগ পি ত্রিপাঠী আরবিআইয়ের পক্ষ নিয়ে জোর দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, আদালত এই জাতীয় বিষয়ে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

অন্যদিকে অশ্বিনী উপাধ্যায় আদালতকে বলেছিলেন যে, তিনি নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করছেন না। তবে, কোনও স্লিপ বা পরিচয় প্রমাণ ছাড়াই ব্যাংকে ২ হাজার টাকার নোট বিনিময় করতে দেওয়ার অনুমতির বিরোধিতা করেছেন। তাঁর দাবি, মোটা অঙ্কের টাকায় নগদ লেনদেন দেশের দুর্নীতির প্রধান উৎস। এটি সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, মৌলবাদ, জুয়া, চোরাচালান, মানি লন্ডারিং, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ঘুষ, যৌতুক ইত্যাদির মতো অবৈধ কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ হাজার টাকার নোট জমা করা হলে এটা নিশ্চিত হয়ে যাবে যে, কালো টাকা এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ রয়েছে, এমন লোক কারা, তাদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।

আরও পড়ুন-

ভয়ঙ্কর কাণ্ড! রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করার পরেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার পরে ফের ‘জনসম্পর্ক অভিযান’-এ জোর দিল বঙ্গ বিজেপি
চল্লিশটি কুমীর মিলে ছিঁড়ে খেল শরীর, পোষা জন্তুদের হাতেই প্রাণ গেল কম্বোডিয়ার কুমীর-পালকের