সংক্ষিপ্ত

দিল্লির ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে মৃ্ত্যু হয়েছে অনেক আঘাত থেকেই। মহিলার আঘাত ছিল প্রবল। দেহ থেকে বেরিয়ে এসেছিল ফুসফুস।

বর্ষ বরণের রাতে দিল্লির তরুণী অঞ্জলি সিং ঠিক পাশবিক ভাবে হত্যা করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর তদন্তকারীদের দাবি তাঁকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেছিল মদ্যপ যুবকরা। কারণ ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট মৃত্যুর আগে ঠিক কতটা কষ্ট পেয়েছেন বছর ২০ তরুণী। তদন্তকারীদের দাবি অঞ্জলির স্কুটি ধাক্কা মারার পর তাকে প্রায় ১২ কিলোমিটার গাড়িতে করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার কারণে তার শরীরের বহিরাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট রয়েছে। রাস্তা দিয়ে ঘসে ঘসে নিয়ে আসার জন্য পিঠের চামড়ার অস্তিত্ব প্রায় ছিল না বলেও দাবি করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। শরীর থেকে বেরিয়ে এসেছিল ফুসফু। মাথার খুলি ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল ঘিলু।

অঞ্জলি সিং-এর ময়নাতদন্তের রিপোর্টঃ

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী অঞ্জলির মস্তিষ্কের মধ্যে স্নায়ী, ঘিলু অনেকাংশে ছিল অনুপস্থিত। শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ফুসফুস। প রিপোর্ট অনুযায়ী মাথার খুলের গোড়া ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কের কিছু উপাদন অনুপস্থিত ছিল। অঞ্জলি পরিবারের একমাত্র উপর্জনকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণে মাথা , মেরুদণ্ডে আর নিম্মাঙ্গে তীব্র আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।

মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রবল আঘাত আর রক্তক্ষরণের কথাই উল্লেখ রপা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে,সবকটি আঘাত একসঙ্গে পেয়েছিলেন বলেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁকে যৌন নিপীড়ন করা হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে রিরোর্ট। কারণ রিপোর্টে যৌন হেনস্থার কথা উল্লেখ করা হয়নি।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পার্টির পর অঞ্জলি গভীর রাতেই বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বান্ধবী। যদিও আগেই পরিবারের সদস্যদের তিনি জনিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি ফিরতে গভীর রাত হবে। সেইমত পার্টে সেরে অনেক রাতেই বাড়ি ফির ছিলেন তিনি। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দিল্লির কানঝাওলায়ায় মহিলাকে গাড়িতে ধাক্কা মেরে ১২ কিলোমিটার টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

গাড়িতে থাকা ৫ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগের পাশাপাশি বেপওয়া গাড়ি চালান আর অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল সাক্ষী হিসেবে একজনকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। সেই সাক্ষীর দাবি তিনি দেখেছিলেন, ২০ বছর বয়সী অঞ্জলি সিং-র স্কুটারে মারুতি ব্যালেনো গাড়িটি ধাক্কা মারে। সেই সময় অঞ্জলির বন্ধু তার সঙ্গে ছিলেন। তবে ঘটনার পরই অঞ্জলির বিপদের মধ্যে ফেলে তার বন্ধু পালিয়ে যায়। তবে অঞ্জলির পা গাড়ির অ্যাক্সলে আটকে যায়। তারপরই গাড়িটি ওই অবস্থায় অঞ্জলি টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেই নিধি বর্তমানে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বা মূল সাক্ষী হিসেবে সামনে এসেছেন।

অভিযুক্তরা হল দীপক খান্না(২৬) অমিত খান্না (২৫), কৃষাণ (২৭), মিঠুন (২৬), মনোজ মিত্তাল (২৭)- প্রত্যেকেই রয়েছে পুলিশ হেফাজতে।

 

আরও পড়ুনঃ

প্রভাবশালী তত্ত্বে জামিনের আবেদেন খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের, আপাতত থাকতে হবে কারাগারে

প্রবল ঠান্ডায় হতে পারে শারীরিক সমস্যা, আগামী ৪-৬ দিন আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হবে না: IMD

ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কার মিষ্টি ছবি, প্রাক্তন RAW প্রধান সামিল কংগ্রেসের সঙ্গে