সংক্ষিপ্ত

দিল্লিতে (Delhi) আইইডি (IED) উদ্ধার নিয়ে বহু-সংস্থা তদন্ত শুরু করল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পাকিস্তানি (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী দলও এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। 
 

বৃহস্পতিবারই পূর্ব দিল্লির (Delhi) সীমাপুরী (Seemapuri) এলাকার এক বাড়ি থেকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) আইইডি (IED) উদ্ধার করেছে। এই নিয়ে গত দুই মাসের মধ্যে জাতীয় রাজধানীতে দুটি আইইডি উদ্ধার করা হল। এরপর আর বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, শুক্রবার, এই ধরনের বিস্ফোরক রাখার পিছনে ঠিক কারা জড়িয়ে আছে, তা খতিয়ে দেখতে একটি বহু-সংস্থা তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সূত্রটির আরও দাবি, এই বহু-সংস্থা তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পাকিস্তানি (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) সমর্থিত একটি সন্ত্রাসবাদী দলও জড়িত থাকতে পারে। 

টাইমস নাও-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী নিরাপত্তা সূত্রগুলির দাবি আরডিএক্স ভরা এই ধরনের আরও আইইডি দিল্লিতে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজীপুরের (Ghazipur) ফুলের বাজার এবং বৃহস্পতিবার সীমাপুরী থেকে পাওয়া আইইডি - দুই ক্ষেত্রেই আয়তাকার লোহার ঢালাই ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাসেম্বলড আইইডি (Assembled IED) হিসাবে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সন্দেহ, এরকম আয়তাকার লোহার ঢালাই আরও রয়েছে দিল্লিতে। এই অ্যাসেম্বলড আইইডিগুলি নেপাল (Nepal) বা পাঞ্জাব (Punjab) থেকে মাদক পাচারকারীদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কিংবা স্থানীয় অপরাধীদের কাজে লাগিয়ে দিল্লিতে আনা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

আরও জানা গিয়েছে, মোট চার সন্দেহভাজনকে নিশ্চিতভাবে সনাক্ত করা গিয়েছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য প্রতিটি নিরাপত্তা সংস্থা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। পুলিশ আশঙ্কা করছে এই সন্দেহভাজনরা সশস্ত্র। তাদের হাতে আরও আইইডিও থাকতে পারে বলেও অনুমান নিরাপত্তা সংস্থাগুলির। তারা জানিয়েছে, অ্যাসেম্বলড আইইডিগুলির মধ্যে আরডিএক্স (RDX) এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (Ammonia Nitrate) ভরাই থাকে। শুধুমাত্র একটি ট্রিগারিং ডিভাইস পেলেই, এগুলি দিয়ে বড় মাপের বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। তাই সনাক্তের পরও অত্যন্ত সতর্ক হয়ে কাজ করছে নিরাপত্তা সংস্থা। 

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল আইএসআই-সমর্থিত একটি সন্ত্রাসবাদী দল। তাদের অর্থ দিয়েছিল দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) ডি-কোম্পানি (Dawood Ibrahim)। ওই দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন ছিল সরাসরি পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ১৯৯৩ সালের বম্বে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার পর, এই প্রথম দাউদ ইব্রাহিম এবং তার ভাই আনিস ইব্রাহিমের (Anees Ibrahim) সঙ্গে সরাসরি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর যোগ মিলেছিল। 

তদন্তে জানা গিয়েছিল, আনিস ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সমীর বিস্ফোরকের ব্যবস্থা করেছিল। সবথেকে, বড় কথা হল সেই দলটির সঙ্গে কোনও প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সম্পর্ক ছিল না। ডি-কোম্পানি এবং আইএসআই-এর নির্দেশে স্থানীয় দুষ্কৃতী এবং সন্ত্রাসবাদীরা হাত মিলিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার চেষ্টা করেছিল।